চট্টগ্রামবাসীকে পশু জবাইয়ে পরিবেশ ঠিক রাখতে বললেন রেজাউল করিম

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২০, ১৯:০২

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নগরবাসীকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি নগরবাসীকে পশু কুরবানির সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিও খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মহান আল্লাহত আয়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কুরবানির মধ্য দিয়ে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ এক পবিত্র আনন্দানুভুতিতে মেতে উঠবে ঈদুল আযহার দিন। মহান আল্লাহর জন্য পশুকে কুরবানি দেয়ার সঙ্গে মনের পশুত্বকেও বলি দিতে হবে আমাদের।

তিনি বলেন, প্রিয় মনে করে আমরা অনেক অকুশল চিন্তা ও ধারনাকে আমরা তিলে তিলে মনে ধারন করে ফেলি নিজেদের অজান্তেই। সমস্ত অকুশল পুঞ্জীভূত হয়ে পশুত্ব জেগে ওঠে মনে। মনের পাশবিকতা অনেক সময় আমাদের দৈহিক আচরণেও ফুটে ওঠে। এর সবকিছুর মূলে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হয়ে থাকে স্বার্থপরতা, অহংবোধ। অহংবোধ ও স্বার্থপরতাসহ সব ধরনের লোভ, হিংসা, বিদ্বেষপূর্ণ খারাপ দিকগুলোকে বিসর্জন দিয়ে পবিত্র মনে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করতে পারলে আমরা নিশ্চয়ই তাঁর নৈকট্য লাভে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, আমরা যারা পশু কুরবানি দেব, আমাদেরকে প্রিয় আবাসভূমির পরিবেশের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের নগরীর সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্নতা ও নির্মল পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। পশু জবাইয়ের পর এর রক্ত ও অন্যান্য বর্জ্য পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যত্রতত্র পশু জবাই না করে নির্দিষ্ট স্থানে করাই বাঞ্চনীয়। নয়তো আমাদের পরিবেশকে দুর্গন্ধময় ও দূষিত করে তোলার ক্ষেত্রে আমরাই আমাদের শত্রু হয়ে দাঁড়াব।

কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব না হয় সেজন্য প্রশাসনসহ এলাকাবাসীরও একটি দায়িত্ব থেকে যায়। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এবারের ঈদুল আযহা আমরা পালন করতে চলেছি এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে। করোনার সংক্রমণে সমগ্র বিশ্ব এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও আমার চট্টগ্রামেও করোনার কুপ্রভাব রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও পারস্পরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে আমাদেরকে দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে, সেই লড়াইটাও করতে হচ্ছে করোনার সঙ্গে যুদ্ধের পাশাপাশি। প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পাশপাশি আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :