প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল সিলেটের ৪৬১ প্রতিবন্ধী পরিবার

ব্যুরো প্রধান, সিলেট
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২০, ২১:৩৭

সিলেটের বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী গ্রাম হিসেবে পরিচিত আমতৈল এলাকার ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রতিবন্ধীদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান।

বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের জামশেদপুর, ধলীপাড়া, মাখরগাঁও এলাকা নিয়ে বৃহত্তর আমতৈল গ্রাম। উদ্বেগের বিষয় এ গ্রামের প্রতিটি ঘরেই রয়েছে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর। নতুন জন্ম নেয়া বেশিরভাগ শিশু প্রতিবন্ধী হয়েই জন্ম নিচ্ছে।

ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামটিতে মৎসজীবী সম্প্রদায়ের লোকজনের বাস। গ্রামের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নানা রোগব্যধি এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। খবরটি বোন শেখ রেহানা নজরে আনার পর তাদের জন্য ঈদের উপহার পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, রামপাশা ইউনিয়নের ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীর জন্য জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পরিবারকে একটি লুঙ্গি ও একটি শাড়ি দিতে ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারও খাদ্যসামগ্রী প্রতিবন্ধীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, শুধু উপহার সামগ্রী নয় প্রতিবন্ধী পরিবারগুলোর স্বাস্থ্যকর বাসস্থান, পুষ্টিমান খাবার, প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু কি কারণে এ গ্রামে এত প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিচ্ছে- তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

আমতৈল গ্রামের বর্তমান প্রতিবন্ধী শিশুদের সুস্থতা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী সাতটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এগুলো হলো, গ্রামের সকল প্রতিবন্ধীর সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনতে হবে। সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করা। নিজ বাসস্থানসহ আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

খাদ্যের সকল পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ সরবরাহ এবং সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা।

গ্রামে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিস্টেম চালু এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।

প্রতিবন্ধীদের চাহিদা মোতাবেক বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করা এবং চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ যেমন, হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হেয়ারিং ডিভাইস ও দৃষ্টি সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :