ভারতে গো-মাংস রাখার অভিযোগে যুবককে মারধর

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২০, ০৯:২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ভারতে ফের গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক যুবক। পুলিশের সামনেই তাকে নৃশংসভাবে মারধর করল কথিত গো রক্ষকরা। তবে তার কাছে গরুর মাংস ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। খবর দ্য ওয়ালের।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে প্রায় ৮ কিলোমিটার তাড়া করে একটি পিক আপ ভ্যানকে আটক করে গোরক্ষক বাহিনীর কিছু যুবক। তারপর ওই গাড়ির চালক লোকমানকে বাইরে বের করে এনে বেধড়ক মারধর শুরু করে তারা। তাদের অভিযোগ, ভ্যানে করে গো-মাংস পাচার করছিল লোকমান। তার কথা না শুনেই চলতে থাকে মারধর।

সূত্রের খবর, এই ঘটনা শুরু হতেই সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় তারা। ওই যুবক বারবার সাহায্যের আর্তি জানালেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। লোকমানকে বেধড়ক মারধরের পরে সেই পিক আপ ভ্যানে করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুগ্রামের বাদশাহপুর গ্রামে। সেখানে গিয়ে ফের মারধর শুরু করা হয় তাকে।

দ্বিতীয়বার মারধর শুরু হতে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। তারা উত্তেজিত জনতাকে থামিয়ে লোকমানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও এবং এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অথচ ওই ভ্যানে থাকা মাংস পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবরেটরিতে সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা।

ওই পিক আপ ভ্যানের মালিক জানিয়েছেন, সেখানে গরুর নয়, মহিষের মাংস ছিল। গত ৫০ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের তরফে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ভিডিওতে চুপচাপ পুলিশ আধিকারিকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এর আগে ২০১৫ সালে দিল্লির কাছে নয়ডার দাদরিতে গো-মাংস পাচারের অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। সেই সময়েও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার থেকে বেশি ব্যস্ত ছিল মাংসের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়ায়।

ঢাকা টাইমস/০১আগস্ট/একে