করোনামুক্তির প্রার্থনায় ঈদুল আজহা উদযাপন
প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২০, ২৩:২০ | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২০, ২৩:৪৮
দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আর দেশের বড় একটি অংশজুড়ে বন্যার মধ্যে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
এদিন সকালে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যথাযত স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সারাদেশে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এর আগে গত ১৪ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত কাছের মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুখে মাস্ক পরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা মসজিদে আসন নেন।
নামাজ শেষে খুতবা পেশ করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান।
করোনা মহামারীর কারণে ঈদুল ফিতরের মতো এই ঈদেও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বঙ্গভবনে।
বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান নামাজ আদায় করেন।
এদিকে ঈদের জামাত শেষে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহর মহান কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহপাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকে।
(ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/ডিএম)