ভারতে বিষাক্ত মদ খেয়ে তিনদিনে নিহত ৮৬

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২০, ১৩:১৮ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২০, ১৩:৪০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে গত তিনদিনে অন্তত ৮৬ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন যে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর বিবিসির।

খবরে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। এছাড়া অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলায়ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন।

বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে শতাধিক অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।

বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে। আর শনিবার রাতে জানা যায় যে, বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের। সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ধাবাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান 'লাহান' জব্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে।

অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ। মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ঢাকা টাইমস/০২আগস্ট/একে