দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী বাঁধ

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২০, ১৮:৩৯ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২০, ২০:৪৩

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঈদের বিনোদন উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন  ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লি বাঁধে। বাঁধের জলরাশি আর বয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে অনেকটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। তাইতো দর্শনার্থীরা এ বাঁধটিকে কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনা করে  উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

ঠাকুরগাঁও শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে খোশবাজার মাদ্রাসা। মাদ্রাসা থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর বাঁধপাড়া গ্রামে অবস্থিত ভুল্লি বাঁধ।

১৯৯৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভুল্লি নদীর উপর এ বাঁধ নির্মাণ করে। বর্ষা মওসুমে এ বাঁধের উজানে পানি ধরে রেখে খরা মওসুমে ওই পানি ফসলি জমিতে ব্যবহার করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। জলধারা প্রবাহের জন্য বাঁধটিতে কয়েকটি ধাপে স্তর রয়েছে। এসব স্তর বেয়ে জলরাশি বয়ে চলে ভাটির দিকে। বর্ষার সময় জলধারা প্রবাহের যে শব্দ তা অনেকটা সমুদ্রের গর্জনের মতো।

তাইতো প্রকৃতি প্রেমি মানুষজন বর্ষাকালে দলবেঁধে ছুটে আসছেন এখানে। এখানে এসেই বেশিরভাগ দর্শনার্থী  বাঁধের  পানিতে নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন কিছুক্ষণের জন্য। ঈদ বিনোদন পেতে বাঁধের পানিতে সাঁতার কেটে বিনোদন নিচ্ছেন। তাইতো স্থানীয়রা এ বাঁধটির নাম দিয়েছে ‘মিনি কক্সবাজার’।

দর্শনার্থীরা বললেন ঈদের বিনোদন পেতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছেন। এখানকার পরিবেশ অনেকটা কক্সবাজারের মতো। তাই ঈদে এখানে এসে অনেকে নিজেদের ধন্য মনে করছেন।

এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের দাবি, এখানে যাতায়াতের কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়াসহ দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ও শিশুদের জন্য রাইডার স্থাপনের। আর এসব  সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা গেলে এখানে বিনোদন প্রেমিদের ভীড়ে এলাকাটি মুখরিত হয়ে উঠবে এবং অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভুল্লি বাঁধের দৃশ্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। প্রতি বছর বর্ষাকালে দীর্ঘ চার মাস এ বাঁধের দৃশ্য অপরূপ ধারন করে। এ সময় দর্শনার্থী নারী পুরুষের ভীড় বেড়ে যাওয়ায় এলাকাটিকে পর্যটনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া  হয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ইতোমধ্যে সেখানে একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরো তিনটি প্যানেল স্থাপন করা হবে। এছাড়াও এখানকার কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য এলজিইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে এখানকার যাতায়াতের সড়কটি পাকা করা হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগও দেয়ার কাজ চলছে।

তবে করোনাকালে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধ বিচরণের সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ।

(ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/কেএম)