করোনায় মৃত ও আটক নেতাদের পরিবারকে বিএনপির উপহার

করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ও আটক নেতাদের পরিবারের জন্য ‘ঈদ উপহার’ দিয়েছে বিএনপি। উপহার হিসেবে ‘নানা ফলের ঝুড়ি’ দেয়া হয়। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবরও নেয়া হয়।

রবিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান ও বংশালে কারাবন্দি ছাত্র দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এই ঈদ উপহার পৌঁছে দেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সস্পাদক আবদুল আউয়াল খানের আজিমপুরের বাসায়ও রিজভী যান। তবে প্রয়াত আউয়ালের পরিবার গ্রামের বাড়ি থাকায় তাদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে খোঁজ-খবর নেন তিনি।

এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে ‘নানা ফলের ঝুড়ি’ও ঈদ উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে।

এই সময়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ও ছাত্র দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার আমি পৌঁছে দিয়েছি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। গতকাল ঈদের দিন সদ্য প্রয়াত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, ‘ইসহাক সরকার আমাদের একজন তরুণ বলিষ্ঠ নেতা। তার বিরুদ্ধে ৩১৩টি মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে। শুধুমাত্র মানসিকভাবে পর্যুদস্ত করার জন্য এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন সেই আন্দোলনে যাতে তারুণ্যের শক্তির উপস্থিতি না ঘটে যেজন্য ইসহাক সরকারকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

করোনায় সরকারের ব্যর্থতা এবং ‘ভুতড়ে’ বিলে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।

(ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/বিইউ/ইএস)