চাকরি নয় সনদ চান শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৫

চাকরি নয় সনদের দাবি শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে টানা প্রতীকী অনশন করছেন তারা। সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা এই দাবি জানান।

২০১৭ ও ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সনদের দাবিতে টানা ২৮তম দিন প্রতীকী অনশন পালন অব্যাহত রেখেছেন।

শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন, 'আমরা মনে করেছিলাম বার কাউন্সিল ও এনরোলমেন্ট কমিটির অভিভাবকরা আমাদের যৌক্তিক দাবিটি মেনে নিয়ে ঈদ করার জন্য আমাদের বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু তারা তা করেননি। ফলে রাস্তায় ঈদ করতে হয়েছে। এমন দিনের কামনা অভিভাবকদের কাছ থেকে আমরা কখনো করিনি। অভিভাবকদের কাছে দাবি জানাই সনদ দিয়ে বন্দি খাঁচা থেকে দ্রুত মুক্তি দিন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের সন্তানরা রাস্তায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেননা তাদের যাওয়ার জায়গা নেই।'

শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের অন্যতম সমন্বয়ক এ কে মাহমুদ বলেন, ‘অভিভাকরা আমাদের সনদের ব্যবস্থা করবেন সেই প্রত্যাশায় টানা ২৮তম দিন রাস্তায় অবস্থান করছি। ইতিমধ্যে বরিশাল বারের ইলোরা আপা ও বগুড়া বারের জাহাঙ্গীর ভাই চিরবিদায় নিয়েছেন। আমাদের দাবি হলো সনদের ব্যবস্থা করে দিন, প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাই।'

গত ৭ জুলাই থেকে সনদের দাবিতে অনশনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ইতিমধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা আরও জানান, বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস পরপর বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্তির পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের পর এখন পর্যন্ত একটি পরীক্ষাও সম্পন্ন করতে পারেনি বার কাউন্সিল, অথচ এই সময়ে আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ছয়টি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার কথা। ঠিক সময়ে পরীক্ষা না হওয়ায় আইন বিষয়ে পড়ালেখা করেও মারাত্মক সংকটের মধ্যে আইনে ডিগ্রি অজর্নকারীরা। ছয় মাস পর পর প্রতি পরীক্ষায় পাঁচ হাজার আইনজীবী তালিকাভুক্ত হলেও গত তিন বছরে ছয়টি পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩০ হাজার আইনজীবী তালিভুক্ত হতেন। সে তুলনায় বতর্মান ১২৮৭৮ জন খুবই সামান্য। ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কঠিন প্রতিযোগিতামূলক এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী অংশ নিয়ে পাস করেন মাত্র ৮৭৬৪ জন। আর ২০১৭ সালের সাড়ে তিন হাজার জন।

বার কাউন্সিল ঠিক মতো সময় পরীক্ষা না নেয়ায় পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে অনশন করেন। বার কাউন্সিল যেহেতু ঠিক সময় পরীক্ষা নিতে পারেনি তাই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মানবিক বিবেচনায় রিটেন ও ভাইভা পরীক্ষা মওকুফের দাবি জানিয়ে গেজেট করে ১২৮৭৮ জনকে তালিকাভুক্তির বা সনদ প্রদানের দাবি জানাচ্ছেন। (ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/টিএটি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :