ইংল্যান্ড ফুটবলে ইচ্ছাকৃত কাশিতে লাল কার্ড

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০২০, ০৯:২২

করোনা-সংক্রমণ রুখতে আরও কড়া হল ইংল্যান্ডের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা এফএ। এবার থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ বিপক্ষের কোনও ফুটবলার বা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের (রেফারি, লাইন্সম্যান ও চতুর্থ রেফারি) মুখের সামনে গিয়ে কাশলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়বেন। দেখতে হতে পারে লাল কার্ডও। ইংল্যান্ড ফুটবলে সব পর্যায়েই এই নিয়ম চালু হচ্ছে।

ফুটবল মাঠে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ইতোমধ্যেই কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যে ১৯টি বিষয়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ। এ ছাড়া খেলা শুরুর আগে ও পরে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলানো যাবে না। উৎসবের সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ইংল্যান্ড ফুটবলে এবার জারি হচ্ছে কাশির উপরেও নিষেধাজ্ঞা।

ইংল্যান্ড এফএ’র তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ‘কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রতিপক্ষের কোনও ফুটবলার অথবা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের মুখের সামনে গিয়ে কাশি দেন, তা অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে।’

এখানেই থেমে থাকেনি এফএ। আক্রমণাত্মক মেজাজ, অপমানজনক মন্তব্য বা আচরণ করার মতো অখেলোয়াড়ি মনোভাব হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে অন্যের মুখের সামনে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে কেশে ফেলাকে। অভিযুক্ত ফুটবলারকে হলুদ বা লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রেফারিকেই দিচ্ছে এফএ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘যদি দেখা যায়, মাঠ থেকে বার করে দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই, সে ক্ষেত্রে অখেলোয়াড়ি আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে সতর্ক করা হবে। কারণ, খেলার প্রতি তিনি যথেষ্ট সম্মান দেখাননি।’

রেফারির দায়িত্ব যে শুধু ইচ্ছাকৃত ভাবে কাশার জন্য ফুটবলারকে শাস্তি দিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে এফএ। মাঠের মধ্যে ফুটবলারেরা যাতে থুতু না ফেলেন, তা মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও রেফারিদের নিতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪ আগস্ট/এআইএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :