কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলছে

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২০, ১১:০৫ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২০, ১২:১১

তামিম ইসমাইল, ঢাকাটাইমস

শিমুলিয়ায় ফেরি ঘাট পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। গতকাল থেকে সীমিত আকারে সাতটি ফেরি দিয়ে চলছে যানবাহন পারাপার। ১৬টি ফেরির মধ্যে এখন চলছে সাতটি ফেরি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফেরি পারাপারা গাড়ির যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা।

গত কয়েকদিনের চেষ্টায় শিমুলিয়ায় ভেঙে যাওয়া ঘাট মেরামত করা হয়েছে। এখন সেখানে চারটি ঘাট সক্রিয় রয়েছে। যদিও ফেরিতে পদ্মা পার থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি সময় লাগছে। আগে যেখানে পৌঁনে এক ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লাগত। এখন সেখানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাগছে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভেসে যাচ্ছে ফেরি।

রহিম নামের এক ট্রাক চালক বলেন, 'ঈদের তিন চার দিন আগে ঢাকা যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে ঘাটে আসছি, প্রথমে প্রচুর স্রোত এরপর ঘাট ভাঙ্গার কারণে এখনো ঘাটে আটকে আছি। কারে কয় ঈদ, কারে কয় গোশত খাওয়া কিছুই কইতে পারলাম না।'

কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, ঈদে বাড়ি ফেরার আমেজ এখনো শেষ হয়নি। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের কোনো ভিড় নেই, তবে কিছু সংখ্যক কাজে ফিরতে দেখা গেছে।

নৌরুটে তীব্র স্রোত থাকায় বিকল্প চ্যানেল হিসেবে শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় মাঝির ঘাট হয়ে হালকা যানবাহন নিয়ে সাতটি ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিএ-র সায়েম রবিন বলেন, 'ঘাট যখন স্বাভাবিক ছিলো তখন ফেরি চলাচলে ১ ঘন্টার মতো সময় লাগতো, এখন বিকল্প চ্যানেল দিয়ে আসায় ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় বেশি লাগছে।

এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। একই সাথে বিআইডব্লিউটিএ-র একাধিক টিম ঘাট এলাকায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘাটে দায়িত্বরত নুর-ই আলম নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'অফিসের নির্দেশে চার দিন ধরে ঘাটে ডিউটি করছি। অতিরিক্ত ভাড়া, যাত্রীদের অনিয়ম একই সঙ্গে যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছি'।

বিআইডব্লিউটিএ-র টার্মিনাল ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। এতে ঘাট এলাকায় অনেক ট্রাক আটকে আছে। একই সাথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/এজেড)