আপত্তিকর ভিডিও করে চাঁদা দাবি, দুই নারীসহ চারজন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২০, ২২:০৯

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরে এক নারীর সঙ্গে এক আইনজীবীর (৪২) আপত্তিকর ছবি তুলে ও ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা  দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারকচক্রের দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল।

সোমবার রাতে সালথার ফোকরা ও ফরিদপুর শহরের চরকলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক দলের ওই চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, সোমবার স্থানীয় একজন আইনজীবী র‌্যাব ক্যাম্পে এসে লিখিত অভিযোগ করেন যে, একজন ভুক্তভোগীর মামলা পরিচালনা করার আলোচনার জন্য তার বাসায় যেতে বলেন। জবাবে আইনজীবী তাকে চেম্বারে আসতে বলেন। বিষয়টি গোপনীয় ও পারিবারিক, তাই চেম্বারে আলোচনা করা সম্ভব নয়। এজন্য আইনজীবীকে তার বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। আইনজীবী তার কথা বিশ্বাস করে তার বাসায় যান। তখন তার বাসায় ভুক্তভোগী ছাড়াও আরো একজন নারী  উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই বাসায় হঠাৎ চারজন যুবক লোহার রড ও চাপাতিসহ প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক একজন নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। পরবর্তীতে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

এই ঘটনা জানার পর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে র‌্যাব ঘটনার সত্যতা পায় এবং আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। 

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে এ ঘটনার সঙ্গে  ফরিদপুরের সালথার ফিরোজ মল্লিক (২১), সালথার ময়েনদিয়ার পারভীন আক্তার সাথী (২৭), সালথার তুঘলদিয়ার  মো. রবি হাসান রানা (১৯) ও ঢাকার আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার লাবিবা আক্তার (২১) জড়িত। তারা ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর মহল্লার ফয়সালের বাসায় ভাড়া থাকেন।

র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক দেবাশীষ কর্মকার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ফোকরা গ্রাম থেকে মো. ফিরোজ মল্লিক ও পারভীন আক্তারকে এবং ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুরে ভাড়া বাসা থেকে মো. রবি হাসান রানা  ও লাবিবা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায় তারা একটি প্রতারক চক্র। কখনো প্রেমের অভিনয়, কখনো কাজের কথা বলে তারা বিভিন্ন সময় পুরুষদের বাসায় ডাকে এবং অন্যান্য সহযোগীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার কোতয়ালী থানায় চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি  নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন ওই আইনজীবী। এ মামলায় দুই নারীসহ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকালে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/কেএম)