নদীতে চামড়া ফেলে দিয়েও বিপাকে ব্যবসায়ী

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০২০, ২২:২৩

রাজশাহীতে এবার কোরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে পানির দরে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা খুব সতর্কভাবেই চামড়া কিনেছেন। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার না বুঝেই চামড়া কেনেন তাদের চেয়ে বেশি দামে। পরে তারা আর কেনা দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। গুণেছেন লোকসান।

এদিকে বিক্রি করতে না পেরে ঈদের পর দিন রাজশাহীতে সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী নগরীর বুলনপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে এক ভ্যান ছাগলের চামড়া ফেলে দেন। সেই ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এখন তিনি পড়েছেন বিপাকে। পরিবেশ দূষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এখন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

রোববার সকালেই নদীতে চামড়া ফেলে দেয়ার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমেও। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তের জন্য রবিবারই রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টির সরেজমিন তদন্ত করেন। পরে সেদিনই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল হক বলেন, যিনি চামড়া নদীতে ফেলেছেন তিনি রাজশাহীর একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। চামড়া কেনাবেচা কিংবা সংরক্ষণে তার অভিজ্ঞতা নেই। তিনি ছাগলের চামড়া কেনার পর নাটোর ও রাজশাহীতে বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্রি করতে পারেননি, সংরক্ষণ করতেও জানেননি। তাই চামড়ায় পচন ধরে। এ কারণে তিনি নদীতে ফেলে দেন।

তিনি আরও জানান, তার কাছে মনে হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চামড়া নদীতে ফেলা হয়েছে। সে কারণে ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি চামড়া বিক্রি করতে না পারলে আমাদের জানাতে পারতেন অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারতেন। তিনি নদীতে চামড়া ফেলে পরিবেশের দূষণ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে দূষণ আসলেই হয়েছে কি না সেটা আগে দেখতে হবে। সে জন্য নদীর যে স্থানে চামড়া ফেলা হয়েছে, সেখান থেকে তিন বোতল পানি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই পানি পরীক্ষার জন্য বুধবার বগুড়ার ল্যাবে পাঠানো হবে।

নদীর স্রোতে চামড়া ফেলার দুই দিন পর সেখানকার পানিতে দূষণের মাত্রা বোঝা যাবে কি না জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, সেটা পরীক্ষার পরই বলা যাবে। এটা আমাদের প্রক্রিয়া। আমরা আইন অনুযায়ী পানি পরীক্ষা করছি। পানি পরীক্ষার পর যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু 

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :