স্ত্রীর কবরের পাশে চিরঘুমে বিএনপি নেতা মান্নান

আব্দুল মান্নানের জানাজায় অংশ নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা

সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকালে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বুধবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার কফিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দেওয়া হয়।

তার আগে নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে আব্দুল মান্নানের প্রথম জানাজায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, ইশরাক হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকনসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী অংশ নেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আবদুল মান্নান সাহেব শুধু দলের ভাইস চেয়ারম্যানই ছিলেন না, তিনি এদেশের একজন প্রতিথযশা কর্মীবান্ধব মানুষ ছিলেন। তিনি মন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন এবং অত্যন্ত যোগ্য একজন পুরুষ ছিলেন। আমার তার পাশে আসার যতটুকু সুযোগ হয়েছে- এরকম সৎ, এরকম আন্তরিক, এরকম নিষ্ঠাবান, এরকম যোগ্য মানুষকে রাজনীতিতে আমি খুব কম দেখেছি।

ফখরুল বলেন, আমার এখনো মনে আছে, তিনি যখন বাংলাদেশ বিমানের এমডি ছিলেন, পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তখন বাংলাদেশ বিমান প্রফিট করেছিল এবং সেই প্রফিটের টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে বিমানের একটা স্থায়ী অফিস করেছিলেন, সকল বকেয়া ঋণ পরিশোধ করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আব্দুল মান্নান ঢাকা জেলার সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যু বিএনপির নেতা-কর্মী বিশেষ করে ঢাকা জেলার নেতা-কর্মীর জন্য অনেক দূঃখের অনেক কষ্টের। আমি পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া চাইছি তিনি যেন তাকে বেহেস্তের সুন্দরতম জায়গায় রাখেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মান্নান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবদুল মান্নান। ঢাকা-২ আসনে (নবাবগঞ্জ- দোহার) ১৯৯১ সালে থেকে চার বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির সংসদ নির্বাচিত হন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/বিইউ/এমআর)