শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার: সেই তিন শিক্ষক বরখাস্ত

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২০, ২১:২৩

চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি সুজিত রায় নন্দী ও গণ্যমান্যদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচারের দায়ে গ্রেপ্তার তিন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর মধ্যে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের আইসিটি শিক্ষক (প্রভাষক)নোমান ছিদ্দিকী ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (প্রভাষক) জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সাময়িকভাবে এবং ইংরেজি (খণ্ডকালীন প্রভাষক) ফরক্কাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক এ.বি.এম আনিছুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কলেজের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতে এ ব্যবস্থা নিল কলেজ গভর্নিং বডি।

বুধবার কলেজের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও গণ্যমান্যদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অপপ্রচারের অভিযোগে গত ১৯ জুলাই ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের তিনজন শিক্ষককে পুলিশ কলেজের আইটি বিভাগ থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কলেজের পরিচালনা পর্ষদ গত ২২ জুলাই সভাপতির বাসভবনে সন্ধ্যায় এক জরুরি সভার মাধ্যমে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি সরজমিনে তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারে যে, এলাকার লোকজনের আটকদের ব্যাপারে বিরূপ ধারণা রয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ঘটনা প্রকাশের কারণে কলেজের ভাবমূর্তি ও সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পূর্বে ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে কলেজ গভর্নিং বডি সিদ্ধান্তক্রমে আটক নোমান ছিদ্দিকী ও জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সাময়িকভাবে এবং এবিএম আনিছুর রহমান (খণ্ডকালীন)-কে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে।

এ বিষয়ে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ড. হাছান খান বলেন, এবিএম আনিছুর রহমান মূলত আমাদের শিক্ষক না। তিনি ফরক্কাবাদ সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি আমাদের এখানে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ছিলেন। মাঝে-মধ্যে দু-একটি ক্লাস নিতেন।

তিনি জানান, তদন্ত কমিটি গত ৩ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এরপর অভিযুক্ত তিন শিক্ষকে ৪ আগস্ট বহিষ্কার করা হয়।

উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে গুজব ছড়ানো ও অপপ্রচারের অভিযোগে ওই দুই কলেজ শিক্ষক, এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গত ১৯ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর ২০ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ফেসবুক আইডি থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নামে গুজব এবং অপপ্রচার ছড়ানোয় অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও হান্নান নামে আরেক শিক্ষক জিডি করেন। জিডি অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পাওয়ায় আমরা মামলা করি। এরপর আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরবচ্ছিন্নভাবে তদন্ত কাজ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহ হয়। সন্দেহের ভিত্তিতে সার্চ ওয়ারেন্টের জন্য আমরা আদালতে একটি আবেদন দেই। আদালতের সার্চ ওয়ারেন্ট পেয়ে গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে রবিবার গভীর রাতে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের আইটি সেকশনে একটি অভিযান পরিচালনা করি। গোয়েন্দা তথ্যের সত্যতা অনুযায়ী ওই সময় কলেজ বন্ধ থাকা সত্বেও সেখানে আমরা তিন শিক্ষককে পাই।

তিনি বলেন, ওই কলেজের ইসলামিক ইতিহাসের প্রভাষক জাহাঙ্গীর, কলেজের আইসিটি শিক্ষক মো. নোমান সিদ্দিকী এবং পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা শিক্ষক এবিএম আনিছুর রহমানকে ‘জয় আহমেদ’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ ধরনের কার্যক্রম চালানোর সময় হাতেনাতে আটক করি।

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে এসপি

সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১২

মৌলভীবাজার জেলা নাগরিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, নতুন সম্পাদক আব্দুল বাছিত বাচ্চু

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

সালথায় সহিংসতার মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪৪ জন গ্রেপ্তার

উপজেলা নির্বাচন: নোয়াখালীতে মা-ছেলেসহ চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মনোনয়ন জমা

উপজেলা নির্বাচন: পদত্যাগ করলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম

গাজীপুরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর

সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন আ.লীগ নেতা 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :