জামালপুরে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২০, ২২:০৯

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জামালপুরে বন্যার পানি কমায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বানভাসী মানুষ। দীর্ঘ এক মাসের বন্যায় লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে তাদের বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট। এখন কাঁদা আর বাড়ির চারপাশের পানির মধ্যে বসতি শুরু করতে হচ্ছে এসব পরিবার। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা।

যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দীর্ঘ একমাসের বন্যায় জেলার সাত উপজেলার রাস্তা-ঘাট বাড়ি-ঘর ও পাট, সবজি ও রোপা-আমন ধানের বীজতলাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানির তোড়ে কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকার লাখো মানুষ।

বন্যাকবলিত এলাকায় অধিক সময় ধরে কোন কাজ না থাকায় হাতে টাকা না থাকায় খাবার যোগাড় করতে পারছে না। খাবার না থাকায় এক বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের।

এসব দরিদ্র পরিবারের অভিযোগ, ঈদের আগে ৮ কেজি চাল পেয়েছিল- তা শেষ হয়েছে আগেই। এখন ঘরে কোন খাবার নেই, হাতে টাকাও নেই ছেলে-মেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকার থেকে কোন ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না তারা।

ইসলামপুর উপজেলা পশ্চিম বামনা ও দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রামের অনেক পরিবারের অভিযোগ দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় ধরে তারা বন্যার পানিতে ভাসলেও কোন ত্রাণ পায়নি তারা। সরকারি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানান এসব পরিবার।

তিন দফা বন্যায় জেলার প্রায় আড়াই লাখ পরিবারের ১০ লাখ মানুষ এক মাসের অধিক সময় ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। এখন পানি কমলেও বানের পানিতে রাস্তা-ঘাট ও বাড়ি-ঘর লণ্ডভণ্ড হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষরা।

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এলএ)