বৈরুত বিস্ফোরণ: বন্দর কর্মকর্তারা গৃহবন্দি

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২০, ১০:৫৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটির বন্দরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলাকালে তাদের গৃহবন্দি করা হলো। খবর বিবিসির।

ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে এখনো পর্যন্ত ১৩৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। এই ঘটনার পর লেবাননে দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গুদামে রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

দেশটির কাস্টমস প্রধান বাদরি দাহের বলেছেন, এসব রাসায়নিক পদার্থ সেখান থেকে সরিয়ে নেবার জন্য তার সংস্থা বললেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।

লেবাননের তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে বন্দরের যেসব কর্মকর্তা সেখানে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখা, সেগুলো তত্ত্বাবধান করা এবং এর কাগজপত্র যারা দেখাশুনা করেছেন সবাইকে গৃহবন্দি করা হবে।

কৃষিকাজের জন্য সার এবং বিস্ফোরক বানানোর জন্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়। বুধবার মন্ত্রিপরিষদের এক জরুরি বৈঠকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'বিস্ফোরণের কারণে বৈরুত শহরে যে আতঙ্ক নেমে এসেছিল সেটি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। পুরো শহর দুর্যোগ কবলিত হয়েছিল।'

ব্রিটেনের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা শহরে যে পারমানবিক বোমা ফেলা হয়েছিল, সেটির দশভাগের এক ভাগ শক্তি ছিল বৈরুত বিস্ফোরণে। তারা বলছেন, বৈরুতের এই বিস্ফোরণ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পারমানবিক-বহির্ভূত বিস্ফোরণ।

সংবাদদাতারা বলছেন গুদামটিতে যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল এবং তা ছয় বছর ধরে অনিরাপদ অবস্থায় সেখানে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ২০১৩ সালে একটি জাহাজে করে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বৈরুত বন্দরে এসেছিল।

বৈরুত বন্দরের প্রধান এবং কাস্টমস প্রধান স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা জানতেন যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিপজ্জনক এবং বন্দরের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে রাখা রাসায়রিক পদার্থ রপ্তানি কিংবা বিক্রি করে দেবার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে একাধিকবার চিঠি লেখা হয়েছিল।

লেবাননের সুপ্রিম ডিফেন্স কাউন্সিল বলেছে, এই ঘটনার জন্য যারা দোষী হবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।

ঢাকা টাইমস/০৬আগস্ট/একে