ওসি প্রদীপ পুলিশি হেফাজতে

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৪:৫১ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৬:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস:

সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে  গুলি করে হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি (সদ্য প্রত্যাহার) প্রদীপ কুমার দাশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় তাকে কক্সবাজার আদালতের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

আইনশৃঙ্খলা  রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তারা জানায়, ওসি প্রদীপকে আটক বা গ্রেপ্তার না দেখিয়ে পুলিশ তাকে কক্সবাজার আদালতে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। সে চট্টগ্রামে ছিল। সেখান থেকে তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এখন আত্মসমর্পণ করছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান।

এদিকে গতকাল দুপুরে নিহত মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস

বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) নির্দেশ দেন।

একই দিন পুলিশ সদরদপ্তর ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার করে। তার আগে  সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশ প্রধান বেনজির আহমদ কক্সবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং ২ নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়াও আরো ৭ জনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

এর আগে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/এসএস/এমআর