গম আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান-মেম্বার গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৬:৩৪

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

সরকারি গম আত্মসাতের অভিযোগে নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য (মেম্বার) শাহানাজ পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নাটোর থেকে এই চেয়ারম্যান-মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ টন সরকারি গম আত্মসাতের মামলা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বুধবার (০৫ আগস্ট) নাটোর সদর থানার পুলিশ ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দার কোরবান আলীর বাড়ি থেকে ১০০ বস্তা গম জব্দ করে। প্রতিটি বস্তার গায়ে ‘খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য, নেট ওজন ৫০ কেজি’ লেখা ছিল। পুলিশ জানতে পারে- এসব গম মাঝদিঘা পূর্ব বিল খাল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ। গমগুলো ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য শাহানাজ পারভীনের নামে বরাদ্দ ছিল।

গমগুলো সরকারি কাজে ব্যবহার না করে শাহানাজ পারভীন বিক্রির জন্য চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের কাছে দিয়েছিলেন। পরে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল ও মেম্বার শাহানাজ পারভীন গত ৩০ জুলাই গমগুলো কোরবান আলীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখেন। কোরবান সম্পর্কে চেয়ারম্যানের নাতিন জামাই।

গমগুলো উদ্ধারের ঘটনায় নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বিষয়টি দুদকের সিডিউলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই গম আত্মসাতের সঙ্গে সরকারি কিছু কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তদন্ত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/এলএ)