অবশেষে পানির বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলল ২০০ পরিবারের

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:২৫

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

অবশেষে পানির বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলেছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দুই গ্রামের ২০০ পরিবারের সহস্রাধিক মানুষের। বুধবার  ঢাকাটাইমসে  ‘পানিবন্দি ২০০ পরিবার শিরোনামে’ সংবাদ প্রকাশের পর হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি’র নির্দেশে কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওইদিনই গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ভরাট জমি কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। ফলে পাঁচ বছর ধরে পানির বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে পশ্চিম কুজাইল ও চক নয়াপাড়া গ্রামের ২০০ পরিবার।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ অবস্থায় জীবন যাপন করছেন কয়েক বছর ধরে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই গ্রামের চলাচলের সড়ক ডুবে যায়। জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে দুই শতাধিক বাড়ি-ঘর। বর্ষা মৌসুমে কালাই উপজেলার পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামের বৃষ্টির পানি পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার সীমানা দিয়ে অপসারিত হয়ে আসছে অনেক আগে থেকে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণের ফলে ক্ষেতলাল সীমান্ত দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। নানা দেন দরবার করেও সুরাহা না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে গত পাঁচ বছর ধরে ওই দুটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন।

বুধবার এ নিয়ে ঢাকাটাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশের পর হুইপ স্বপন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকসহ কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন।

পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, নির্বাহী অফিসার মোবারক হোসেন ও ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম আবু সুফিয়ান সরেজমিনে উপস্থিত থেকে ক্ষেতলাল সীমানার ভরাট হওয়া জায়গা কেটে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে গ্রামবাসী জয়পুরহাট-বগুড়া ভায়া মোলামগাড়ি সড়কের ক্ষেতলাল সীমানার প্রায় একশ’ ফিট ভরাট জায়গা কেটে বর্ষার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।

দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় প্রচন্ড খুশি গ্রামের প্রাণি চিকিৎসক নবীর উদ্দিন বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমরা এ সমস্যায় ছিলাম। দেরিতে হলেও সমাধান হওয়ায় আমরা গ্রামবাসী খুবই উপকৃত। এজন্য আমরা হুইপ মহোদয় জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

এ সময় কালাইয়ের জিন্দারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, ক্ষেতলাল পৌরসভার কাউন্সিলর জুলফিকার আলী চৌধুরীসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, ঢাকাটাইমসে দুই গ্রামের পানিবন্দির প্রতিবেদন দেখার পর হুইপ মহোদয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/কেএম)