সুশান্তকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রেমিকা রিয়াসহ সাতজন
মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে অনেক ঘাটাঘাটির পর গেল বুধবার মুম্বাই পুলিশ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তার একদিন বাদেই অভিনেতার মৃত্যুতদন্তে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। তাতে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী-সহ মোট সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
শুধু তাই নয়, সুশান্ত এবং রিয়ার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আবারও প্রকাশ্যে এসেছে নতুন তথ্য। সুশান্তের কল রেকর্ড ঘেঁটে সিবিআই জানতে পেরেছে, গত ৮ জুন থেকে ১৪ জুন রিয়া এবং সুশান্তের মধ্যে কোনোরকম মেসেজ বা ফোন কল আদানপ্রদান হয়নি। অথচ এর আগে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, মৃত্যুর আগের রাতে সুশান্ত যে দুজনকে ফোন করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন বন্ধু মহেশ শেট্টি এবং অন্যজন রিয়া।
এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিবিআই আইনি পদ্ধতি শুরু করার পাশাপাশি বিহার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। ভারতীয় সিবিআই-এর অন্যতম সেরা সদস্যদের দল এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এই সদস্যরাই অগস্টাওয়েস্টল্যান্ড চপার কাণ্ড ও বিজয় মালিয়ার তদন্ত সামলেছে। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেয়ার কথা বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে বিহার সরকার নায়কের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই মামলার বিহারের তদন্তকারী অফিসারকে মুম্বাইয়ে ‘জোর করে কোয়ারেন্টাইনে’ রাখার বিষয়েও সরব হন তিনি। এরপর সুশান্তের বাবার সঙ্গে কথা বলে গত মঙ্গলবার মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়ার সুপারিশ করেন নীতীশ।
পাটনার রাজেন্দ্রনগর থানায় সুশান্তের বাবা কেকে সিং ছেলের চর্চিত গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কয়েকদিন আগেই। তারপর থেকেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে বিহার পুলিশ। উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনেতার বাড়ির রাঁধুনী দাবি করেন, সুশান্তকে কোনো দিন তিনি ডাক্তারের কাছে যেতে দেখেননি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শুধু সুশান্তকে দেখেছেন নিজের ফিটনেস ও কাজের মধ্যেই থাকতে।
ওই রাঁধুনী আরও দাবি করেন, তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাড়ি গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর রিয়া চক্রবর্তী তাকে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেন। সুশান্তকে নিয়ে ইউরোপে বেড়াতে যান। সেখান থেকে একসঙ্গে ঘুরে আসার পরই সব কিছু কেমন বদলে যেতে থাকে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এএইচ