কাশিমপুরে কয়েদি ‘উধাও’য়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৭:৩৭ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৯:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক নিখোঁজের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ১১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রধান কারারক্ষীসহ ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কারাগারের ভেতরে ওই কয়েদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চণ্ডিপুর এলাকায়। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

এই ঘটনায় এডিশনাল আইজি প্রিজন্স (অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক) এর নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছে। কমিটি আগামীকাল থেকেই কাজ শুরু করবে।

ইতিমধ্যে গাজীপুরের পুলিশ সুপার এবং একই সঙ্গে পলাতক কয়েদির নিজ জেলা সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। পলাতক কয়েদির অনুসন্ধান চলছে।

বরখাস্তকৃতরা হলেন- সহকারী প্রধান কারারক্ষী আহাম্মদ আলী, কারারক্ষী হক মিয়া, মনিরুল ইসলাম, আলী নুর, সজিব হোসাইন ও নবীন কারারক্ষী আনোয়ার হোসেন। আর বিভাগীয় মামলা হয়েছে সর্বপ্রধান কারারক্ষী আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রউফ খান, কারারক্ষী ইউসুফ খান, রাকিবুল হাসান ও শওকত আলীর বিরুদ্ধে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  ঢাকা টাইমসকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আসামিদের গণনার সময় থেকে আবু বক্কর সিদ্দিককে কারাগারে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারাগারের ভেতর খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে আবু বকর সিদ্দিক এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

জানা যায়, এর আগে ২০১২ সালেও একবার কারাগারের ভেতর লুকিয়ে ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক। পরে খোঁজাখুঁজি পর তাকে পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/এসএস/জেবি)