শেরপুরের এসপি করোনায় আক্রান্ত

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২০, ২২:৫৮ | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২০, ২২:৫৩

শেরপুরের এসপি কাজী আশরাফুল আজীমসহ দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩২৮ জনের করোনা শনাক্ত হলো। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবের ফলাফল উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুর রউফ।

তিনি জানান, আক্রান্ত দুজনই সদর উপজেলার। মোট ৯১টি নমুনা পরীক্ষায় ওই দুজনের করোনা শনাক্ত হলো। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

বর্তমানে ৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কেউ জেলা সদর হাসপাতালে বা কেউ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত জেলা থেকে করোনার মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয় চার হাজার ৭০৪টি। আর ফলাফল পাওয়া গেছে চার হাজার ৬২৭টির।

অন্যদিকে অপেক্ষমান রয়েছে ৭৭টি নমুনার ফলাফল।

এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে এসপির করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ হাতে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন। এছাড়া করোনা শনাক্ত হওয়ার পর কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং কি কি ওষুধপত্র সেবন করবেন ফোনে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মোবারক হোসেন লিখিত ব্যবস্থাপত্র তার কাছে পৌঁছে দেবেন।

এসপির নমুনা সংগ্রহের সময় তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল তিনি যেন কারো সংস্পর্শে না যান। তবুও কেউ যদি তার সংস্পর্শে গিয়ে থাকেন, তা এসপির সাথে কথা বলে তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।

প্রসঙ্গত, এসপি কাজী আশরাফুল আজীম করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করতে ‘নো মাস্ক, নো মেডিসিন- মাস্ক নাই যার, বাজার নাই তার’ এ ধরনের লিফলেট ও ব্যানার এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকান ও ওষুধ বিক্রেতাদের দোকানের সামনে ঝুলিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেন। আর এ নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে দোকান মলিকদের কাছে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হতো প্রতিনিয়ত। ‘আমরা আছি জনতার পাশে, মানবিক পুলিশের চোখে জনতার আকাঙ্খা’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে করোনা নমুনা সংগ্রহ বুথ।

শুধু তাই না, হতদরিদ্র কৃষকদের ধান ও ভুট্টা মাঠ থেকে সংগ্রহ করে ঘরে তুলে দেয়া। করোনার কারণে কর্মহীনদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো। করোনা শনাক্ত রোগীর বাড়িসহ আশপাশের লকডাউন থাকা বাড়িতে খাদ্য সরবরাহ। সীমান্তের গারো পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অর্থ ও খাদ্য দিয়ে সহায়তাসহ নানা ধরণের প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছিলেন এসপি।

(ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :