অন্যদের জড়িয়ে বরকত-রুবেলের জবানবন্দি, প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২০, ১৫:৫৯

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল কয়েকজনকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, যা সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাদের এই জবানবন্দির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন, ডিক্রির চর ইউপির চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, ফরিদপুর চেম্বারের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ঈশান গোপালপুরের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু। তারা বরকত-রুবেলের এই বক্তব্যকে ‘ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার’ বলে দাবি করেন।

শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রণকাইর বাজারে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বেলায়েত হোসেন। তিনি ফরিদপুর জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে শহরতলীর সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় একই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।

এসব কর্মসূচি থেকে দাবি করা হয়, চেয়ারম্যান মিন্টু পারিবারকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত। মিন্টু স্থানীয় যুবলীগের সভাপতি।

রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তির অংশিক প্রতিবাদ করেছেন ফরিদপুর চেম্বারের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি জানান, ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিবারের সুনাম রয়েছে দীর্ঘদিনের। তিনি ২৫ বছর, আর তার পিতা ৪০ বছর ব্যবসা করেছেন সরকারি সকল আইনকানুন মেনে। তা্র পরিবারের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার জন্য রুবেল-বরকত মনগড়া কথা বলছে।

তিনি দাবি করেন জেলার নিয়মিত শীর্ষ করদাতাদের একজন তিনি।

সম্প্রতি মানি লন্ডারিং মামলায় আটক রুবেল-বরকত আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন- ‘সদর উপজেলার চারটি ইউপির চেয়ারম্যান নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে বরকত-রুবেলের অপকর্মে সহযোগিতা করতেন।’

এ বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, ‘রুবেল-বরকত রাজনৈতিকভাবে সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। এ বক্তব্য আমাদের বিপদে ফেলার জন্য। আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এটি একটি ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অংশ। তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেন।’

(ঢাকাটাইমস/৮আগস্ট/এলএ)