এখানে শ্বাস নিতেও বকশিশ লাগে

হাসান শান্তনু
| আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২০, ১২:৪৭ | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০২০, ১১:১২

‘প্রতিটি শিশু এই বার্তা নিয়ে জন্মায় যে, স্রষ্টা এখনো মানুষের প্রতি আস্থা হারাননি।’ কবির এ কথা সত্য হয়ে থাকলে স্রষ্টা এবার ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল’ বাঙালি জাতির প্রতি আস্থা হারাবেন কি না, তা তিনিই জানেন।

হাসপাতালের সেবিকা, আয়াদের ‘বকশিশ’ না দেয়ায় খুলে নেওয়া হয় এক মাস বয়সী শিশুর অক্সিজেন মাস্ক। দুর্নীতি, অসততা, ভণ্ডামিতে দূষিত এ দেশের বাতাস থেকে শ্বাস নিতে না পেরে মারা যায় শিশুটি। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে শনিবার মৃত্যুর পর এমন অভিযোগ করছেন শিশুর স্বজনরা।

শিশুটির বাবা রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, শনিবার দুপুরে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির পর অক্সিজেন দেয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত সেবক ও আয়ারা শিশুটির বাবার কাছে বকশিশ চান। বাবার অভিযোগ, বকশিশ না দিয়ে নামাজ পড়তে চলে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন, অক্সিজেন খুলে রাখায় মারা গেছে শিশুটি।

এক লাখ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ‘অনন্য রোল মডেল জাতির’ উপর স্রষ্টা যদি আস্থা নাও হারিয়ে থাকেন, তবু শিশুটি স্বর্গে ফিরে গিয়ে তার কাছে হয়তো অভিযোগ করবে- ‘ওই দেশে জন্মাতেও টাকা লাগে, শ্বাস নিতেও বকশিশ লাগে...।’

এরপর স্রষ্টা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, না নেবেন- তা কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়। যে দেশে এক মাস বয়সী শিশু কিছু টাকার জন্য হত্যার শিকার হয়, সেই দেশের নানা জায়গায় স্রষ্টার অদৃশ্য হাত লাগে বলেই বিশ্বাসীরা মনে করেন।

লেখক: সাংবাদিক

ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :