আমার এগ্রো ফার্মে তিন শর্ত বাধ্যতামূলক

জ্যোতিকা জ্যোতি
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০২০, ১৩:১৬

এগ্রিকালচারই নদীমাতৃক উর্বর বাংলার কালচার। আমার চিরদিনের আগ্রহ গাছপালা আর কৃষি। বিভিন্ন সময়ে আমি বলে এসেছি কোন একসময় আমি কৃষিকাজে হাত দেব। নতুন কালচার আর পেশায় বুঁদ হয়ে থাকার কারণে শুরুটা হচ্ছিল না। করোনাকাল সে সুযোগ একটু আগেইভাগেই এনে দিলো। ৪-০৮-২০২০ ইংরেজী সালে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করলাম আমার এগ্রো ফার্মের কাজ।

গত দুবছর ধরে নানারকম পরিকল্পনা মাথায় কিলবিল করছিল। একটু পড়াশোনা আর রিসার্চ করলাম নিজের মতো করে। আর বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির এবং আমার পেশাগত কাজের নড়বড়ে অবস্থায় বসে থেকে ডিপ্রেসড না হয়ে পাগলের মতো দিনরাত ২টা মাস কাজ করলাম। আর এখন মাঠে নামলাম। এবার চলছে টিম তৈরি ও জমি তৈরির কাজ। তবে টিম তৈরি বেশ কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে আমার প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী। আমার প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা যুক্ত হবে তাদের অবশ্যই ৩টি বাধ্যতামূলক নিয়ম মানতে হবে।

ক) এই কাজটাই তাদের রক্তের সাথে মিশে যাওয়া টাইপ নেশা হতে হবে।

খ) তাদের শতভাগ সৎ হতে হবে

গ) কাজ চলাকালীন সময়ে ফোন ও যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার ব্যাবহার নিষেধ।

তাছাড়া আমি প্রাধান্য দিচ্ছি তরুণদের যাদের পারিবারিক এবং নিজস্ব ‘এইম ইন লাইফ’ লেখাপড়া শেষ করে একটা চাকরি নেওয়া। যারা ডুবে আছে ফেসবুকের ভার্রচুয়াল নেশায়, ইন্টারনেটের লালনীল দুনিয়ায় যা কিছুদিন পরই তার জীবনে অন্ধকার হয়ে হাজির হবে! অবিভাবক আমার উদ্যোগকে রিস্ক প্রজেক্ট ভাবে, অনেকেই ভয় পাচ্ছে,সন্তানদের ফার্মিংয়ে যুক্ত করতে চাচ্ছেনা। সবকিছু গুছিয়ে যারা আমার সাথে এগুবে তাদের সাথে নিয়েই আগাচ্ছি।

আমি মনে করি বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রামের একজন প্রাতিষ্ঠানিক মধ্যমেধা বা নিম্নমেধার তরুনের পক্ষে একটা চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। পেলেও সেটা দারুণ ডিপ্রেসিভ হবে একসময়। আমি এই তরুণদের মেধার জায়গাটা উন্মুক্ত করে সাথে নিয়ে এগোতে চাই। আমি তাদেরকে আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মী নয়, অংশীদার হিসেবে যুক্ত করতে চাই। তার জন্য আমি নিজস্ব কিছু প্ল্যান তৈরি করেছি। যে যে বিষয়ে আগ্রহী ও এক্সপার্ট তাকে সেই বিষয়ে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষিই এখন সবথেকে লাভবান পেশা।

আমার ইচ্ছে রাজধানীতে একটি দোকান দেওয়ার যেখানে আমরা বিভিন্ন রাসায়নিক, ফরমালিন, ভেজালমুক্ত প্রাকৃতিক খাবারের সমারোহ ঘটাবো। এই ব্যাবসার লাভেই নিজের টেষ্টের সিনেমা বানাবো। সেই প্রিপারেশনে সহায়তার জন্য আমি আরেকটি প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজ শুরু করেছি। বিস্তারিত সব সময়মতো জানাবো। টাকা নয়, আমাদের মুলধন পরিশ্রম আর পরিকল্পনা।স্বপ্ন পুরণে সাথে থাকুন, আপনার কোনো মতামত থাকলে শেয়ার করুন। সবাইকে ধন্যবাদ। ‘বাণিজ্যে বসত: লক্ষ্মী!’

লেখক: অভিনয় শিল্পী

ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :