টঙ্গী পূর্ব থানার বিতর্কিত এসআই শাহীন মোল্লার বদলি

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২০, ২২:৪২ | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২০, ২২:৫৪

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মোল্লাকে ট্যু্রিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বদলি আদেশ দেয়া হয়। এছাড়াও জিএমপির সদর থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামালকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বদলিকৃত তিনজন এসআই ৮ আগস্টের মধ্যে বদলিকৃত ইউনিটে যোগদানের জন্য ছাড়পত্র নেবেন।  

'মাদকের হাট' খ্যাত টঙ্গীর মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা, ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিতর্কিত ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই শাহীন মোল্লা। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই টঙ্গী পূর্ব থানায় যোগদানের পর বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে এসআই শাহীন মোল্লাকে তিনবার বদলি করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বদলির পর ফের একই থানায় বহাল তবিয়তে থেকে যান তিনি।

জিএমপি সূত্র জানায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর এসআই শাহীন মোল্লাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। এর একমাস পর ১৫ ডিসেম্বর রংপুর রেঞ্জের বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়।  

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পূর্ব থানায় যোগদানের পর থেকে টঙ্গীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে এসআই শাহীন মোল্লার। তার নেতৃত্বে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে অর্ধশতাধিক সোর্স। তাদের সাহায্যে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক এবং মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা নিতেন তিনি। সময়মতো মাসোহারা না দিলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হতো সোর্সদের মাধ্যমে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও এসআই শাহীন মোল্লা মাসোহারার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রিতে উৎসাহ দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার সোর্স দত্তপাড়ার এলাকার সজল মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের দিন টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার তিন নম্বর ব্লকের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মমতাজকে আটক করে ৪৫ হাজার টাকা, পাঁচ নম্বর ব্লকের তারা বেগমের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন এসআই শাহীন মোল্লা। এর আগে ৩০ জুলাই রাতে সাত নম্বর ব্লকের জামালকে আটক করে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন তিনি।

৫ আগস্ট এরশাদনগর তিন নম্বর ব্লকের কাজল ওরফে পিচ্চি কাজলকে মাদকসহ আটকের পর ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এসআই শাহীন মোল্লা। এছাড়াও মধুমিতা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আমির এবং টঙ্গী বাজার মুন্সিপাড়া এলাকার বাঁধনকে আটক করে মোটা অঙ্কের ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এসআই শাহীন মোল্লার বিরুদ্ধে। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে এসআই শাহীন মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বদলি আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/কেএম)