ভারতে ১১ পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০৯:৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ভারতের রাজস্থানে একটি কুঁড়েঘর থেকে ১১ পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, একই পরিবারের এই ১১ জন বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন। সম্ভবত কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী গোটা পরিবার। খবর আনন্দবাজার।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জোধপুর শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের দেহাতি গ্রাম ডেচুরে। ডেচু থানার পুলিশ অফিসার হনুমান রাম জানান, ১২ জনের পরিবারটি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছিল। সকলেই ভিল সম্প্রদায়ের মানুষ। কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তারা। পরিবারের এক জন কেবল রাম (৩৫) শনিবার রাতে ফসল পাহারা দেওয়ার জন্য বাইরে শোয়ায় প্রাণে বেঁচেছেন। সম্পর্কে জামাই হলেও তিনি ওই  পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। সকালে তিনি ঘরে এসে দেখেন সবাই মৃত। রাম পুলিশকে জানান- কীভাবে কী হল, সেই সম্পর্কে তার ধারণা নেই।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে এই মৃত্যুর ঘটনায় বিঁধেছে বিরোধী বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের মন্তব্য, 'প্রায় এক ডজন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। কীভাবে সরকার চলছে, তা দেখিয়ে দিল এই বেদনাদায়ক ঘটনা'।

হনুমান রাম জানান, সকালে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। বিছানায় একের পর এক দেহগুলি পড়ে ছিল। মৃতদের মধ্যে চার জন পুরুষ, তিন জন মহিলা এবং চারটি শিশু। ঘরের মধ্যে রাসায়নিক কীটনাশকের তীব্র গন্ধ থেকে তার ধারণা- সবাই জেনেশুনেই তা খেয়েছেন।

পাকিস্তান থেকে এসে প্রথমে শরণার্থী শিবিরে থাকত পরিবারটি। মাস ছয়েক আগে ওই খামার লিজ নিয়ে চাষবাস ও দেখভালের জন্য ওই কুঁড়েঘরে বসবাস শুরু করেন তারা। জোধপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল ভরত জানিয়েছেন, কারও দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। বল প্রয়োগের প্রমাণও মেলেনি।

ঢাকা টাইমস/১০আগস্ট/একে