অবহেলিত সরকারি মাধ্যমিক স্তর, দেখার কেউ নেই

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ১৬:৫৫

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

আজ বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তার সবচেয়ে বড় কারণ, এক কালের দারিদ্র্য পীড়িত এই দেশটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অচিরেই দেশটি বিশ্বের উন্নত দেশের সারিতে শামিল হবে। আমরাও চাই এমন একটি বাংলাদেশ। যেখানে দারিদ্র্যের হাহাকার থাকবে না। প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ। আপামর জনসাধারণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ। এমন বাংলাদেশ গড়া আমাদের জন্য তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাব।

ব্যক্তি স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে মূখ্য হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের ধ্যান-জ্ঞানই হবে দেশের উন্নয়ন। জাতির উন্নয়ন। যার বাস্তব প্রতিফলন লক্ষ করা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ প্রেম ও উন্নয়নমূলক সার্বিক কর্মকাণ্ডে। ঢাকা শহর সহ সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। করোনার এই করাল গ্রাসে এই ধারা কিছুটা ব্যাহত হলেও অচিরেই কেটে যাবে এই স্থবিরতা। চির অবহেলিত পদ্মাপারের মানুষগুলো কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে সরকারের এই অগ্রযাত্রা ও যুগান্তকারী সাফল্যের।     

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছেন। নাগরিক সেবা পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের দ্বারপ্রান্তে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি যুগোপযোগী করেছেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে। সনাতন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে সৃজনশীল ধারার শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছেন। যদিও সমালোচকমহল মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।

স্বাভাবিকভাবে এ কথা বলতে হয়, কোনো কিছু নতুন করে প্রবর্তন করে সেটাকে বাস্তবায়ন ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসতে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির সম্মুখীন হতে হবে এটাই স্বাভাবিক। একটা পর্যায়ে অবশ্যই এটি একটি পরিমার্জিত রূপ ধারণ করবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যেমন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে তেমনি সরকারকেও সোচ্চার থাকতে হবে। সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতির সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণ বর্তমান সরকারের জন্য অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় দিক। এটিকে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না-করে সফলতা অর্জনের লক্ষে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা করাই একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব। আজ বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে চলেছে আমাদেরও তাদের সঙ্গে তাল রেখে চলতে হবে। এর বিপরীত হলে আমরা পিছিয়ে যাব। দেশ পিছিয়ে যাবে।

করোনার এই দুঃসময় চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের আরো একবার দেখিয়ে দিলো সৃজনশীলতা ও গবেষণাকর্মে আমরা কত পিছিয়ে। বিশ্বব্যাপী আজ সৃজনশীল কাজ ও সৃষ্টিশীল মানুষের কদর বেড়েই চলেছে। সুতরাং আমাদের কাজেও থাকবে সৃষ্টিশীলতা। হবে বৈচিত্র্যপূর্ণ।  

এই সৃজনশীল মানুষ কীভাবে তৈরি হবে? কারা হবে এই সৃজনশীল মানুষ গড়ার কারিগর? আমি নিজেই যদি সৃজনশীল হতে না-পারি, তাহলে আমি অন্যকে কীভাবে সৃজনশীল মানুষ হবার পরামর্শ দেব। এজন্য ন্যূনতম নিজের ভেতর অন্যকে গাইড করার মতো এই ক্ষমতাটুকু থাকা চাই। পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনায় আমি আমাদের দেশের শিক্ষাখাতকে একটু অন্য চোখে দেখি। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরটাকে।

একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক শিক্ষার মূলভিত্তি কতটা মজবুত হবে তা নির্ভর করে শিক্ষার এ দুটি স্তরের উপর। কিন্তু আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় (প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ) অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরাই বাধ্য হয়ে সরকারি অন্যকোনো চাকরি না-পেয়ে এই পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। অবশ্য ব্যক্তিভেদে এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। তবে তা উদাহরণ হতে পারে না। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের এটাই একটা বড় পার্থক্য। ঐ সমস্ত দেশে সবচেয়ে মেধাবী ছেলেমেয়েরা আসে শিক্ষকতায়। আর আমার দেশে ঘটে তার উল্টো। কেন ঘটে তার কিছু যুক্তিসংগত কারণ আছে। আপনি সৎ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন এ পেশা আপনার জন্য নয়। আপনি ব্যবসা সফল শিক্ষক হতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য চমৎকার পেশা। আমি মনে করি, মেধাবীদের শিক্ষাখাতে আকৃষ্ট করার জন্য একদিকে যেমন শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো দরকার অন্যদিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনাও জরুরি। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণে শিক্ষাগত যোগ্যতা একটি বিবেচ্য বিষয় হতে পারে। তাহলে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এখানে আসতে আগ্রহী হবে।

বিগত সরকারগুলোর তুলনায় এ সরকার শিক্ষাখাতকে যথেষ্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমূহ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষকদের আত্মীয়করণের মাধ্যমে রাজস্ব খাতের আওতায় নিয়ে এসেছে। রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের মাধ্যম শিক্ষকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে সবই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সাবলীল গতিতে এগিয়ে চলেছে। সবই সম্ভব হয়েছে সরকারের সদিচ্ছা ও প্রাথমিক স্তরের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক মাধ্যমিক স্তর। একজন শিক্ষার্থীর জন্য জ্ঞান অর্জনে প্রকৃত সময় এটি। সরকারি মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের নানা বঞ্চনার কথা আমরা বহু আগে থেকে শুনে এসেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা হয়নি। ১৯৮৩ সাল থেকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের আমল থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি ছিল প্রথম শ্রেণি করার। সময় পেরিয়ে গেল। শিক্ষকরা গো ধরে বসলেন। প্রথম শ্রেণি না-হলে নয়। শেষ পর্যন্ত কিছুই হলো না। অবশেষে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের আমলে এসে কিছুটা আলোর মুখ দেখল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ২০১২ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেয়া হলো। যদিও তারা আগে থেকেই দ্বিতীয় শ্রেণির সবধরণের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এসেছেন। এখানে এসে কাগজে-কলমে দালিলিক প্রমাণে ভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন ঘটল।

দ্বিতীয় শ্রেণি ঘোষণা হবার কয়েক মাসের মাথায় এসে চাকরিতে আট বছর পূর্ণ হলে শূন্যপদ সাপেক্ষে মোট শিক্ষকের ৫০ ভাগকে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দেয়া হবে বলে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সিনিয়র-জুনিয়র অভ্যন্তরীণ নানা জটিলতায় ভুগছেন। কাজে নেই গতিশীলতা। বছরের পর বছর অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সাধারণ শিক্ষকদের দাবি ছিল কোনোপ্রকার শর্ত ছাড়াই তাদের চাকরির মেয়াদ আট বছর পূর্ণ হলে প্রথম শ্রেণি অর্থাৎ নবম গ্রেডের পদমর্যাদা দেয়ার। তবে ইদানীং এ দাবিও বেশ জোরেশোরে উত্থাপিত হচ্ছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড করার।

২০১৯ সালের বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সকল প্যানেল থেকেই শিক্ষকদের আশ্বস্ত  করা হয়েছিল তারা নির্বাচিত হলে তাদের এক নম্বর দাবি থাকবে মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা। এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড। পদ সোপান তৈরি। পদোন্নতি সিস্টেম চালুকরণসহ মাধ্যমিকের নানা সমস্যা নিরসনের। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো আভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। হয়তো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা ধৈর্য ধারণ করে আছেন। করোনাকালের এই সময়ের মধ্যে যদি তাদের দাবি-দাওয়া পূরণ না হয় হয়তো বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

হৃদয়বান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিকের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত আছেন কি না জানি না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জানার কথা নয়। কারণ, বাসমাশিস নামে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পেশাগত সংগঠন রয়েছে। তাঁদেরই দায়িত্ব  প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমস্যার ব্যাপারে অবহিত করা। কিন্তু সংগঠনটি অভ্যন্তরীণ নানা কারণে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে ঢাকায় অবস্থানের স্বার্থে সাংগঠনিক পরিচয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা হাতিয়ে নিলেও সাধারণ শিক্ষকের পক্ষে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো কাজ করছে না বলে সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, পদোন্নতি পদ্ধতি চালুকরণ, পদ সোপান তৈরিসহ মাধ্যমিকের যাবতীয় সমস্যা দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাণের দাবি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি একটি ব্লক পোস্ট। ছিটে-ফোটা দু-চারজনের ভাগ্যে পদোন্নতির সুযোগ জুটলেও অধিকাংশই একই পদ থেকে চাকরিতে অবসরে যান। এটা যে কেবল অমানবিক তা নয়, মাধ্যমিক শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়ও বটে। কথিত আছে, একজন শিক্ষক তো অতি কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর আগে অসিয়ত করেছিলেন, ‘তিনি মারা গেলে যেন তার করের উপর  লিখে দেয়া হয় তিনি সহকারি শিক্ষক ছিলেন।’

প্রাইমারি সেকশনের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। কলেজে সেকশনেও কোনো সমস্যা নেই। তাহলে মাধ্যমিকের সমস্যাটা কোথায়। আর কী কারণেই-বা এ সমস্যা হচ্ছে। সমস্যার গোড়ায় গিয়ে কথা না-বললে এর সমাধান কখনোই সম্ভব নয়। আজ যারা মাধ্যমিকের মূল দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন তারা কেউই মাধ্যমিক থেকে আসা লোক না। সবাই কলেজ সেকশনের। আর কলেজ সেকশন থেকে আসা লোকজন মাধ্যমিকের কথা ভাববেন না এটাই স্বাভাবিক। মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রশ্ন মাধ্যমিক সেকশন কেন কলেজ প্রশাসনের লোক দিয়ে পরিচালিত হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো যদি তারা সঠিকভাবে চালাতে পারেন, কলেজ সেকশনের কোনো লোকের দরকার না-হয়, তাহলে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের কেন তাদের বসাতে হবে?

মাধ্যমিকের সমস্যা সমাধানে সরকারের দুটো রাস্তা খোলা-১. মাধ্যমিক সেকশন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর নামক প্রতিষ্ঠানটি একসঙ্গে থাকবে ঠিকই মাধ্যমিক সেকশনের যাবতীয় কাজ পরিচালিত হবে মাধ্যমিকের লোকজন দিয়ে। ২. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাধ্যমিককে পৃথক করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নামে আলাদা একটি অধিদপ্তর গঠন করতে হবে। এমনটি হলে দেখা যাবে মাধ্যমিক শিক্ষকদের মাঝে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভ একদিকে যেমন নিরসন হবে অন্যদিকে মাধ্যমিকের কাজে গতিশীলতা আসবে। যার উদাহরণ আজকের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর বাইরে গিয়ে মাধ্যমিকের শিক্ষকরা বা সরকারের পক্ষ থেকে মাধ্যমিকের জন্য যা করা হোক না কেন তাতে মাধ্যমিক সেকশনে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা কোনোভাবে দূর করা সম্ভব নয়। বরং এটি পরবর্তীতে একটি বিস্ফোরণ আকারে দেখা দিতে পারে। শিক্ষকসমাজের জন্য এটি যেমন কলঙ্ক তেমনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এটি একটি অশুভ লক্ষণ।

প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ। তিনি মাধ্যমিকের সাধারণ শিক্ষকদের বঞ্চনার কথা ভেবে এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। বর্তমান সরকারের জন্য মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে এটি হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। 

লেখক: সাহিত্যিক ও গবেষক