ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ১৮:০৮ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২০, ১৮:০৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

জেএমবি ও ইয়াবার মামলায় চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলা করেছেন এক কাপড় ব্যবসায়ী।

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চরকালীগঞ্জের হাশেম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সোহেল মীর সোমবার এই মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- কোতোয়ালী থানার এসআই পবিত্র সরকার, এসআই খালেদ শেখ ও এএসআই  মো. শাহিনুর রহমান, কনস্টেবল মো. মিজান এবং সোর্স  মো. মোতালেব।

মামলার অভিযোগে বাদী সোহেল মীর বলেন, ঈদের পরদিন ২ আগস্ট বিকাল চারটার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকায় নেমে আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন প্রধান সড়কের উপর উঠামাত্র পাঁচ আসামি তাকে ঘিরে ধরে তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি করে তার পকেটে থাকা ২৯০০ টাকা পেয়ে নিয়ে নেন। এরপর পুলিশ তাকে চলে যেতে বলে। তখন বাদী টাকা ফেরত চাইলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর আসামিরা উপস্থিত লোকজনদের বলেন, সে জেএমবির মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এরপর তারা টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। লোকজন আরও বাড়তে থাকলে এক পর্যায়ে আসামিরা বাদীর পকেটে ২১৪ পিস  ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে ছবি তোলেন। এরপর আসামিরা তাকে টেনে-হেঁচড়ে থানায় নিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে রাখেন।

এরপর আসামি খালেদ বাদীকে পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে বলেন। বাদী খবর পৌঁছে দিলে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে বাদীর সাথে দেখা করে ঘটনা জানতে পারেন। এরপর তারা আসামিদের সঙ্গে দেখা করলে কথার এক পর্যায়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। তা না দিলে জেএমবি সদস্য ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। দিলে সাধারণ ধারায় বাদীকে চালান দেবেন বলে জানান। এরপর বাদীর পরিবার নিরূপায় হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় আসামি পবিত্র ও খালেদের কাছে দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন ধারদেনা করে আরও এক লাখ ৫০ হাজার টাকা সকাল ৮টায় দেন।

টাকা দেয়ার পর বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন করছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করছিলেন। ১০০ ধারায় তার বিরুদ্ধে নন এফআইআর করে আসামিরা আদালতে পাঠান। এরপর আসামিরাই তাকে আদালত থেকে মুক্ত করেন। ছেড়ে দেয়ার সময় হুমকি দেন যে, ঘটনা কাউকে বললে পরবর্তী সময়ে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/আরজেড/জেবি)