সরিষাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ২১:২৫

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সনেকা বেগম (১৯) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকদের ওপর। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামের আফাজ উদ্দিন আদিরের ছেলে সোহেলের সাথে চর সরিষাবাড়ী গ্রামের ইনতিয়াজের মেয়ে সনেকার বিয়ে হয়। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সনেকা বেগম। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন সনেকাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, রবিবার রাতে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে নদীতে মাছ ধরতে যায়। সোহেলের বাবা আদির মিয়া রাত ১২টার দিকে বাইরে বের হলে সনেকার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে ঘরে গিয়ে সনেকাকে ধর্ণার সাথে ঝুলন্ত দেখেন। এসময় ছেলে সোহেলকে ফোন দিলে সে বাড়িতে এসে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তখন সবাই মিলে তাকে মাটিতে নামায়। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।

নিহতের স্বামী সোহেল রানা বলেন, আমি রাতে মাছ ধরতে বিলে যাই। পরে বাবার ফোন পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘরের ধর্ণার সাথে স্ত্রী সনেকা ফাঁসিতে ঝুলছে। রাতেই সবাই মিলে তার মরদেহ নামিয়ে ফেলেছি।

নিহত সনেকার চাচি সুইটি বেগম বলেন, সোহেলের বাড়ি থেকে সকালে আমাদের ফোন দিলে আমরা এসে সনেকার মৃতদেহ দেখতে পাই।

জানতে চাইলে তারা জানান, সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত আমরা বা এলাকার কেউ ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেখিনি।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করিম বলেন, আদ্রা এলাকায় একজন গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে মর্মে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এলএ)