রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২০, ১৬:৫৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন (ফাইল ছবি)

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বেলায়েত হোসেনের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মো. গোলাম মোস্তফা (আদর) নামে এক ব্যবসায়ী বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেমনকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী আদর সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নিকটাত্মীয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর পূর্বে বেলায়েত হোসেনের সাথে পরিচয় হয় আদরের। এরপর তাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাধে আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে বেলায়েত হোসেন বাড়ির জমি রেজিস্ট্রি করতে গত বছরের ১১ আগস্ট পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই টাকা আসামি গত ১৫ মার্চ চেক প্রদান করেন। পরদিন আদর চেকটি উত্তোলন করেন। গত ৪ এপ্রিল আসামি বেলায়েত হোসেন বাদী আদরের বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। তিনি নিজেকে ডিবির অফিসার পরিচয় দেন। তখন আসামি বাদীর বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, গত পাঁচ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক বেলায়েত হোসেনের নামে দেন। গত ১০ এপ্রিল বাদীর সাথে তার বাবার কথা হয়। বাদী জানতে পারেন ঘটনা কিছু না মিথ্যাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে বেলায়েত হোসেন টাকাটি নিয়েছেন। পরে বাদীর বাবা ব্যাংককে চেকটি পাস না করার তথ্য দেন।

গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সাথে ১৫/১৬ জন অজ্ঞাতনামা ডিবি নামধারী পুলিশ পরিচয় বাদীর বাড়ি প্রবেশ করেন। তারা ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং বাদীর নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানাসহ জেলের হুমকি দেন তারা। টাকা দিতে না পারায় আদরকে মারপিট করে ডিবির মিন্টু রোডে নিয়ে যায়। আদরের বাবা, মা এবং স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে যান। তখন আসামি বেলায়েত হোসেন বলেন, ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে অথবা ৮০০ বোতল ফেনসিডিল অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়া হবে। তখন আদরের বাবা সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামিকে দেন। ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা আসামিকে দেয়া হয়। আসামি আরও ছয় লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে বলেন, অন্যথায় বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেয়ার হুমকি দেন।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/আরজেড/জেবি)