ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২০, ১৭:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাস্ক না পড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন ওই দুই যুবক। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্বাহী হাকিম কিশোর কুমার।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চিনাইর গ্রাম থেকে শহরে আসেন রাব্বী। মাস্ক না পড়ায় পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দাঁড় করিয়ে ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করে।

রাব্বী অভিযোগ করে জানান, সঙ্গে জরিমানার টাকা না থাকায় বিকাশে টাকা এনে দেবে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানায় তিনি। কিন্তু টাকা দিতে দেরী করায় হাকিমের নির্দেশে পুলিশ তাকে ভেতরে নিয়ে পেটাতে শুরু করে। এরপর তিনি মায়ের ওষুধ কেনার টাকা পকেট থেকে বের করে দেয়। এসময় হাকিম ও পুলিশ তখন তাকে বলেন, এখন এক লাখ টাকা জরিমানা দিলেও কাজ হবেনা। সেইসঙ্গে জানানো হয়, এখন তাকে সাত দিনের জেল দেয়া হবে। রাব্বির দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে তার বা হাত ভেঙ্গে গেছে।

একইসময়ে শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে আসা রতন ও তার ভাই জাকির মুখোমুখি হন ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের। হেনস্থার শিকার হন তারাও। এসময় রতনের মাস্ক ছিলনা। এজন্যে তাদের জরিমানা করা হয়।

জাকির অভিযোগ করে জানান, তিনি জরিমানার টাকার রশিদ চাওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাকিম কিশোর কুমার ও পুলিশ। এসময় সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে তারা তাকে মারধর শুরু করেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাহী হাকিম কিশোর কুমার বলেন, ‘নরমালি সবাইকে জরিমানা করা হয়েছে। সবাই জরিমানা দিয়েছেন। শুধু একটাই ব্যতিক্রম ছিলো। একটা লোক টাকা থাকা সত্বেও জরিমানা দিতে চাচ্ছিলেননা। একাধিকবার তাকে টাকা দিতে বলা হয়। এরপর জেলের ভয় দেখিয়ে তাকে কিছুক্ষণ গাড়িতে রাখা হয়। পরে বিকাশে জরিমানার টাকা এনে দিয়ে চলে যায় সে। কাউকে মারধরের প্রশ্নই উঠেনা। পৌর মার্কেটের সামনের মতো একটি জায়গায় তা সম্ভবও নয়।’

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা হাকিম রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার জানা মতে, এমন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/পিএল)