চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২০, ১১:৪৭

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ওই এলাকার বাঁধসহ সড়কের প্রায় ২৫ মিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এতে সড়কের বেশ কিছু অংশ ও বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়। এলাকায় বর্তমানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পানির তোড়ে বাঁধে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ২৫ মিটারের সঙ্গে বাঁধের আরও ৬০ থেকে ৭০ মিটার ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

ভাঙনের সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষণিক বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছেন। নতুন করে আরও ব্যাগে বালু ভর্তি করা হচ্ছে। স্থায়ী ও শক্তিশালী বাঁধ না হলে বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি মেঘনায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিমল চৌধুরী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গত বছর থেকে বাঁধের এলাকাটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে ছিল। ওই সময় মন্ত্রীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ১১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ী বাঁধ হবে বলে আশ^াস দিলেও এখনও তা করা হচ্ছে না। যখন ভাঙন দেখা দেয় তখন কিছু বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয়, ভাঙন কিছুটা কমলে আর কোন কাজ হয় না। গত ২০ দিন আগেও একবার ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড যে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ র্নিধারণ করে সেখানেই এখন ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন জানান, ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাত থেকেই শ্রমিক কাজ করতে শুরু করেছেন। তবে এখানে পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। তারপরেও কাজ বন্ধ নেই।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, বুধবার রাত ১০টায় পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। এ সময় শহর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ২৫ মিটার এলাকাজুড়ে ফাটল দেখা দেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। মেঘনা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্ট ঘূর্ণিপাকে হরিসভাসহ পুরানবাজার ব্যবসায়িক এলাকাটি ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর