মির্জাপুর-উয়ার্শী-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কে চরম ভোগান্তি

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৭:৩১ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৭:৩৩

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মির্জাপুর-উয়ার্শী-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের রোয়াইল ব্রিজের সংযোগ সড়ক বন্যার পানির স্রোতে ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ফাটল ধরার পর বিকালে সড়কটি ধসে পড়ে। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে বিকল্প পথে ঢাকা ও মানিকগঞ্জের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও সদরে আসতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

মির্জাপুর-উয়ার্শী-বালিয়া আঞ্চলিক সড়ক উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ দিনেও সড়কটি নির্মাণ হয়নি। প্রায় চার যুগ পর স্থানীয় এমপি একাব্বর হোসেনের প্রচেষ্টায় সড়কটির নির্মাণ কাজ  ২০১৭ সালে শেষ হয়। এর ফলে উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়। যানজটপ্রবণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবেও এই সড়কটি ব্যবহৃত হয়।

সড়কটি উদ্বোধনের নয় মাসের মাথায় নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। পরে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করে যায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গঠিত একটি তদন্ত দল। ওই সময় ওই সংসদীয় তদন্ত কমিটি অনিয়মের সত্যতা পায়।

চলতি বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় মির্জাপুরের এই সড়কটিসহ সব আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়। প্রবল স্রোতে সড়কের পুষ্টকামুরী, রাজনগর, ঘুগি, রোয়াইল অংশসহ বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরে। বন্যার পানি কমার ফলে সড়কে ভাঙনের ক্ষত চিহ্ন দেখা দেয়। দুর্ভোগ বারতে থাকে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের। সড়ক পথে চলতে গিয়ে মানুষ এখন বিকল্প হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছে। এতে সময় ও খরচ বেশি লাগছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সড়কটির রোয়াইল বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজের সংযোগ সড়কে ফাটল দেখা দেয় বলে এলাকাবাসী জানায়। পরে দিনের মধ্যে সংযোগ সড়কটি ধসে পানিতে মিশে যায়। ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত পানির প্রবল স্রোতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ওই ব্রিজটি।

রোয়াইল গ্রামের মিনুর হোসেন বলেন, সকালে ব্রিজের দক্ষিণ পাশের সংযোগ সড়কে ফাটল দেখা দেয়। বিকালে সড়কটি ধসে পড়ে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক আশীষ, রুবেল, মজিবর, সনজিত, মুক্তার, সবির বলেন রাস্তাটি ভাঙনের ফলে চলাচলে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমাদের আয়ের পথ এখন বন্ধই হয়ে গেছে।

স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী এনামুল কবির বলেন, সংযোগ সড়কটি ধসে যাওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সড়কটি পরিদর্শনে আসবেন বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/কেএম)