সুবীরের বাংলাদেশবিরোধী লেখার নিন্দা কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:১২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিকের বাংলাদেশবিরোধী লেখা ও অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডেপুটি হাই কমিশন সুবীর ভৌমিক পরিচালিত পোর্টালগুলোতে প্রচারিত মিথ্যা তথ্য থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডেপুটি হাইকমিশন থেকে বলা হয়, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল ভিত্তিক কিছু পোর্টালে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফটোশপ করা ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। প্রেস রিলিজে সুবীর ভৌমিকের নাম না নিয়ে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি যে, দ্য ইস্টার্নলিংক.কম, লুকইস্ট.ইন ও এনইনাউ.ইন নামে ওই পোর্টালগুলো একজন অসৎ সাংবাদিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, দ্য ইস্টার্নলিংকের এডিটোরিয়াল ডিরেক্টর ও লুকইস্ট এর উপদেষ্টা হলেন সুবীর ভৌমিক। লুকইস্ট তারই এক সহযোগী শুভ্র গুপ্ত পরিচালনা করেন। অপরদিকে এনইনাউ নামের আরেকটি পোর্টালে সুবীর ভৌমিক প্রায়ই লিখে থাকেন।

সেখানে বেনামে বাংলাদেশ বিরোধী উস্কানিমূলক লেখাগুলো নিজের পোর্টালে হুবহু প্রচার করেন তিনি।

সম্প্রতি সুবীর ভৌমিকের দ্য ইস্টার্নলিংকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি ফটোশপকৃত ছবি প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখানো হয় ইমরান খানের কার্যালয়ে তার সঙ্গে করমর্দন করছেন শেখ হাসিনা। যদিও ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা এক বারও পাকিস্তান সফর করেননি। ওই আর্টিকেলে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক নিয়েও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। হাসিনাকে ভারতের জন্য 'চ্যালেঞ্জ' হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ওই সাংবাদিকের বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচারের পুরনো ইতিহাস রয়েছে। ২০১৭ সালে এই সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর হত্যা চেষ্টা ও সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার মিথ্যা প্রতিবেদনও করেছিলেন।

উল্লেখ্য, সুবীর ভৌমিক ২০১৭ সালে এক নিবন্ধে লেখেন, ভিআইপি’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসএসএফ’র একটি গ্রুপ অভ্যুত্থান ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, এসএসএফ’র কয়েকজন কর্মকর্তা ওই অভ্যুত্থান চেষ্টায় নিহতও হয়েছেন। এমনকি একজন ‘নিহত’ কর্মকর্তার নামও প্রকাশ করেন তিনি। তবে পরে দেখা যায় ওই কর্মকর্তা শুধু জীবিতই নন, তিনি এসএসএফ-এই দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রসঙ্গে তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও বিবৃতি জারি করে প্রতিবাদ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই পোর্টালগুলোতে বাংলাদেশের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব পোর্টালে প্রচারিত মিথ্যা তথ্য উপেক্ষা করার জন্যও সকলকে আহ্বান জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/ইএস)