বোয়ালমারীতে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রতিবাদ

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৯:৪০

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়ার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার। শুক্রবার দুপুর ১২টায় বোয়ালমারী বার্তা কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়া।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে আমার একটি পুকুর রয়েছে। সেটির দখল নিতে কদমী গ্রামের আবু মোল্যার ছেলে শীর্ষ মাদক কারবারি মিজানুর রহমান মোল্যা সোনা মিয়া বিভিন্ন অপচেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে পুকুরটি লিজ নেয়ার প্রস্তাব দিলে আমি অস্বীকৃতি জানালে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার দিন আমার বাড়ির উপর এসে আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় গামছা পেঁচিয়ে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। তখন সন্ত্রাসীরা তাদের বেধড়ক মারপিট ও নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এসময় আমার নাতি আহত হয়ে তাদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চায়। পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেছি। আমি দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার হোতা মিজানুর রহমান মোল্যা সোনা মিয়ার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করি।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার ছোট ভাই মইনুল ইসলামের সাথে মিজানুর রহমান মোল্যা সোনা মিয়ার অংশীদারি ব্যবসা ছিল। ব্যবসা চলাকালে মইনুলের নিজ নামীয় হিসাবের স্বাক্ষরিত সিটি ব্যাংকের ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঢাকার দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করে মইনুল। পরবর্তীতে মইনুলের ব্যবসায়িক অংশীদার মিজানুর রহমান মোল্যা সোনা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে সেই চেক তাকে দেয়া হয়েছে প্রচার করে এবং চেক ডিজঅনার দেখিয়ে মামলার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আমরা অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বলেন, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের ওপর এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে তার সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টারও নিন্দা জানাই। সরকারের কাছে জোর দাবি, বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কেএম জহুরুল হক জহুর, বোয়ালমারী বার্তা সম্পাদক কোরবান আলী, বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা লিপন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, কাজী আমিনুল ইসলাম, কামরুল সিকদার, আমীর চারু বাবলু, সুমন খান, এমএম জামান, এমএম নুর ইসলাম, হাসান মাহমুদ মিলু, সাহিদ মোল্যা ও দীপঙ্কর পোদ্দার অপু প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এলএ)