তিন কিশোর নিহত

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ২০:৫৪ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২০, ২০:৫৬

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছকে। এছাড়া সদস্য সচিব সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন জেলা পুলিশ সুপারের একজন প্রতিনিধি, যিনি এএসপি পদমর্যাদার নিচে নন। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সৈয়দ মোহাম্মাদ নুরুল বসিরকে। তারসঙ্গে তদন্ত কাজে সহায়তা করবেন উপপরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এসএম মাহমুদুল্লাহ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর সদরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারপিটের শিকার হলে হাসপাতালে নেয়ার পর তিন কিশোর মারা যায়৷ ১৪ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ প্রথমে কেন্দ্র কতৃপক্ষ দাবি করেছিল, কেন্দ্রে কিশোরদের মধ্যে দুটি গ্রুপ আছে, তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে৷ ওই ঘটনায় তিনজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে৷ কিন্তু পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত এবং আহতদের কথায় অন্য তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ দুই গ্রুপের মারামারির কথা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠেছে৷

নিহতরা হলো পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং নাঈম হোসেন (১৭)৷

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরদের অভিযোগ, পূর্বের একটি ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত হাত-পা বেঁধে কেন্দ্রের নিচতলার একটি কক্ষে কয়েক দফায় কেন্দ্রের লোকজন তাদের মারপিট করে৷ আর এই মারপিট করা হয় গ্রুপে ভাগ করে৷ মারপিটের এক পর্যায়ে তাদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গাছের নিচে ফেলেও রাখা হয়৷ জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পরও তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়নি৷ এক পর্যায়ে একজন মারা গেলে তাদের পর্যায়ক্রমে হাসাপাতালে নেয়া হয়৷

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/জেবি)