বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ মানতে নারাজ গ্রেম স্মিথ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২০, ১২:১০

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগে অনেকবার অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটাররা। তাদের অভিযোগ, সঠিক সুযোগ তারা পাননি। ফের একবার সেই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে। অভিযোগের কেন্দ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ।

তিনি আবার বলেছেন, সবাইকে সমানভাবে খুশি করা সম্ভব নয়। অনেক সময় ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে হয়।

বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের ডিরেক্টর স্মিথ। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রোটিয়া উইকেটকিপার মার্ক বাউচারকে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ করা হয়েছে। আর তাতেই চটেছেন অনেক প্রাক্তন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার। প্রাক্তন উইকেটকিপার থামি সোলেকিলে জানিয়েছেন, তাকে কোনও দিনই দলে নেওয়া হয়নি। বাউচার খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও ডি’‌ভিলিয়ার্সকে উইকেটকিপারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলেও তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। কোচিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

অনেকটা একই অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০১ টেস্ট ম্যাচ খেলা মাখায়া এনতিনি। তার অভিযোগ, তাকে কোনওদিনই দলের সবাই সমানভাবে মেনে নেননি। সবসময়ই একা থাকতে হত থাকে। খেলার বাইরে বিশেষ কেউ তার সঙ্গে কথা বলতেন না। তার সময়ও অধিনায়ক ছিলেন গ্রেম স্মিথ।

এভাবে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় অবশেষে মুখ খুলেছেন স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৮ টেস্ট ও ১৪৯ একদিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া স্মিথ বলেছেন, ‘‌সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অনেক বড় বড় অধিনায়কদের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাদেরও অনেক সময় এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল যা তারা চাননি। তাদের সময়েও অনেক ক্রিকেটারের মনে হয়েছে তাদের সঠিক সুযোগ দেওয়া হয়নি।’‌

সোলেকিলের অভিযোগ নিয়ে স্মিথ বলেছেন, ‘‌নির্বাচক থেকে কোচরা তখন চেয়েছিলেন সোলেকিলে থাকবে ডি’‌ভিলিয়ার্সের ব্যাক আপ উইকেটকিপার হিসেবে।’‌ 

স্মিথ জানান, শন পোলক ও লান্স ক্লুজনারের মতো দু’জন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকেও নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তার নিজের সঙ্গেও একই রকমের সমস্যা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘‌শন পোলক ও ক্লুজনার কিংবদন্তি। তারা আরও খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ছাড়তে হয়। অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল আমাদের। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। পরে একজন চোট পাওয়ায় আমার জায়গা হয়। আমাকে অনেক আগে ছাড়তে হয়েছিল। তখনও আমি খেলতে পারতাম। কিন্তু কুইন্টন ডি’কক আমার থেকে ভাল খেলছিল। তাই আমাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। সব অভিযোগ নস্যাৎ করছি।’‌ 

স্মিথের এই বক্তব্যের পরেও অবশ্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কমছে না। বাউচারের লেবেল ২ কোচিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কোনও কোর্স না করলেও এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তাই এই সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য কোচিংয়ের বিশেষ অভিজ্ঞতার দরকার হয় না। কিন্তু সেখানেই অনেক কৃষ্ণাঙ্গ প্রাক্তন ক্রিকেটার রয়েছেন, যাদের কাছে অনেক বেশি দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু তাঁদের না নিয়ে বাউচারকে কোচ করায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ আগস্ট/এআইএ)