বিএসএমএমইউ’তে শোক দিবসে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২০, ১৭:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবাসহ নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে বিএসএমএমইউর ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, বুকে কালোব্যাজ ধারণের মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএসএমএমইউর হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা প্রদান, করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিএসএমএমইউর ডা. মিল্টন হলে করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন কর্মসূচির উদ্বোধন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও তবারক বিতরণ এবং বাদ ফজর থেকে জোহর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খানি ইত্যাদি।

এ সকল কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া সহ উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিশু অনুষদের ডীন ডা. চৌধুরী ইয়াকুল জামাল, নার্সিং অনুষদের ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম সহ শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, শিক্ষক সমিতি, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, স্বাধীনতা মেডিকেল টেকনোলজি পরিষদ, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ-এর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। 

বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে এবারই প্রথম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ সকাল সাড়ে আটটা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রোগী দেখেন।

জাতীয় শোক দিবসের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল (ইনডোর), ফিভার ক্লিনিক, পিসিআর ল্যাব ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৫ আগস্ট/এএ/ইএস)