নদীতে ঘুরতে এসে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২০, ১৯:৫১

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ক্লোজারে বেড়াতে আসা তিন যুবক নদীতে জোয়ারের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম স্বপন (৩৯) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করলেও আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও মেহেদী হাসান (২০) নামে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার বিকালে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে বেলা ১১টার দিকে মুছাপুর ক্লোজার ছোট ফেনী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নজরুল ইসলাম স্বপন ফেনী জেলার দাগনভুইয়া উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে। নিখোঁজরা হচ্ছেন, দাগনভূঁঞা উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের হাবিব উল্যাহর ছেলে ওমান প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান।

জানা গেছে, দেবরামপুর গ্রামের ২৫-২৬ জনের একটি দল সকালে মুছাপুর ক্লোজারে বেড়াতে আসে। এদের মধ্যে সাতজন শখ করে ছোট ফেনী নদীতে জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে নামে। হঠাৎ নদীতে ভাটার পর জোয়ার আসলে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে তারা। এসময় চারজন সাঁতার কেটে তীরে উঠে আসলেও বাকি তিনজন নিখোঁজ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সদর ও কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ও স্থানীয়রা নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। বিকালে নিখোঁজদের মধ্যে নজরুল ইসলাম স্বপনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, মুছাপুর ক্লোজারকে সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করা না হলেও বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণ পিপাসুরা এখানে বেড়াতে আসে। কিন্তু ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তার জন্য এখানে কোন ব্যবস্থাই নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর বলেন, ওই এলাকায় কোন ধরনের জনসমাগম, গণপ্রবেশ ও বেড়াতে আসা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে মুছাপুর রেগুলেটরের সকল গেট বন্ধ রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অনুনোমদিত কথিত মুছাপুর ক্লোজার নামে পর্যটন কেন্দ্রে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বিকালে নৌকাডুবিতে মাদ্রাসার ছাত্রীসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এরপর ওই এলাকায় লোকজনের যাতায়াত নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি লকডাউন খোলার পরপর অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তা আবারও চালু করে দেয় স্থানীয় অসাধু কয়েক অর্থলোলুপ ব্যক্তি।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এলএ)