স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে নারী চিকিৎসকের লাশ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা পারভীনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়াটারে তার বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামালপুর শহরের হযরত শাহজামাল জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখা শেষে মেলান্দহ হাসপাতালের কোয়াটারে আসেন ডা. সুলতানা পারভীন। পরদিন রবিবার কর্মস্থলে না এলে বিকালে ডা. পারভীনকে খুঁজতে তার বাসায় গেলে দরজা জানালা বন্ধ পান চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে বিছানায় মৃত অবস্থায় পান ডা. সুলতানা পারভীনকে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ডা. সুলতানা পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তার মরদেহের পাশে প্যাথেডিন পাওয়া গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে। ডা. সুলতানা পারভীনের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। তিনি অবিবাহিত এবং তার বাবা-মা ঢাকায় বসবাস করেন। ডা. সুলতানা পারভীন দুই বছর আগে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/এলএ)