‘বঙ্গবন্ধু গোটা জাতির মাঝে সাহস সঞ্চারিত করেছিলেন’

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ২১:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অনলাইনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির জনককে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ইডিইউ। এছাড়া ক্যাম্পাসে সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনলাইন আলোচনার শুরুতে সভার সঞ্চালক ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির জাতির জনকের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন। এ সভায় মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রজন্ম, যারা জাতির পিতাকে দেখেছেন, সেই সময়কে যাপন করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম, যারা বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছেন, এমন ৫ আলোচক দুই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে জাতির জনককে মূল্যায়ন ও তাদের উপলব্ধির কথা আলোচনা করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন আন্তর্জাতিক জনমত তৈরির অন্যতম সংগঠক ও ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক সিকান্দার খান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে মূল কারণ ছিল বাঙালি জাতির মনোবল ভেঙে দেয়া। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন। সে সাহস বাঙালি জাতির মধ্যে সঞ্চার করে দিয়েছিলেন তিনি। তাই তার হত্যা আমাদের জাতির সাহসিকতাকে ভেঙে দেয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নতুন কিছু নয়। সেসব হত্যাকাণ্ডে কেবল ব্যক্তিকেই হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা আদতে বাঙালি জাতিকে হত্যার সমান।

স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন শহিদুল ইসলাম চৌধুরী তার উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে জানান, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই নিজেকে অতিক্রম করে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু তার লালিত স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি নিজেকেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের যোগ্য করে তুলেছেন। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন তিনি।

স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড.  মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, আজকের এ দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও অনুশোচনার দিন। বিশ্বে অনেক নেতা রয়েছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো একটি জাতিকে আত্মপরিচয় দেয়া নেতা আর নেই। কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধীর চক্রান্তেই আমাদের পিতাকে হারিয়েছি আমরা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা অন্য রকম একটি বাংলাদেশ পেতাম।

ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ আহমেদ রিপন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন অসীম মানুষ। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন একজন মহীরূহকে বিচার করা সম্ভব নয়। আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য সারাজীবন লড়াই করেছেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনকালেই তাকে হারানো আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

সভা শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইডিইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত বেশ কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/এলএ)