রূপপুর বালিশকাণ্ড: প্রকৌশলী শফিকুলের জামিন কেন নয়
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ভবনের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাব ও অন্য সামগ্রী ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির তিন মামলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন (মানিক) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান জানান, রূপপুর বালিশকাণ্ডে উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে তিন মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় দুদক কয়েকটি মামলা করে। তারপর থেকে কারাগারেই আছেন মো. শফিকুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আইনজীবীর তথ্য মতে, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের আবাসিক ভবনের আসবাব, বালিশসহ অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনা দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক মামলা করে দুদক। সেদিন থেকে আসিফ কারাগারে। দুই মামলায় ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার এবং ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এমআর