যশোরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৭ কয়েদির মুক্তি

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০২০, ২০:৩০

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৭ কয়েদির মুক্তি দিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। মুক্তিপ্রাপ্তরা সবাই হত্যা মামলার আসামি ও প্রত্যেকে ২০ বছর কারাবাস শেষ করেছেন। গত ১৫ আগস্ট দুপুরে তাদের কাছ থেকে সাজার নির্দিষ্ট জরিমানা আদায় করে মুক্তি দেয়া হয়। একইসঙ্গে ব্লাস্ট যশোরের সহযোগিতায় প্রত্যেককে ২৫ কেজি চাল, পাঁচ কেজি ডাল, তিন লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি ও যাতায়াত ভাড়া দেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকাকালে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি। তারা নম্র ও ভদ্রতার সঙ্গে কারাভোগ করেছেন। একই সঙ্গে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন।

কারা বিধি প্রথম খন্ডের ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী তাদের মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে অধিদপ্তর থেকে ১৭ জনকে মুক্তির দেয়ার নির্দেশ আসে। রবিবার তারা মুক্তি পান।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান, বাগেরহাটের মংলা মাছ বাজার এলাকার মোতালেবের ছেলে শহিদ হাওলাদার, চুয়াডাঙ্গার সাতগারী গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলার মুসাইনগরের রোকন মন্ডলের ছেলে জামাল উদ্দিন, যশোর সদর উপজেলার মুড়লি মোড় এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে রফিকুল ইসলাম, খুলনা খালিশপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহ আলম, বাগেরহাট জেলার কচুয়া গ্রামের শ্রীনাথ দাসের ছেলে সুধীর কুমার দাস, খুলনা দৌলতপুর থানার সাহাপাড়া গ্রামের কিরামত আলীর ছেলে জনি হোসেন নুরুন্নবী, বাগেরহাট জেলার মোল্লাপাড়া উপজেলার ভোজগাতী গ্রামের শাহাদত মোল্যার ছেলে দাউদ মোল্যা, চুয়াডাঙ্গা উপজেলার দামুরহুদা চারুলিয়া গ্রামের রজক খাঁর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা এলাকার সুরাত আলীর ছেলে পল্টু গাজী, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ এলাকার কাজল সিকদারের ছেলে বাবুল সিকদার, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পরানপুর গ্রামের আহাদ আলীর মেয়ে মনোয়ারা বেগম, ঝিনাইদহের দৌগাছি গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আকিনুল ইসলাম, খুলনা টুটপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুস সবুর, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের ইনছান উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম ও কুষ্টিয়া জেলার খাজা নগর এলাকার মুতি মোল্লার ছেলে আব্দুল মালেক।

মুক্তি পেয়ে বন্দি জনি হোসেন জানান, কারাগারে আটক থেকে স্বপ্ন দেখতাম কবে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবো। আদৌ পাবো কিনা সেই ভাবনা নিয়ে জীবন কাটিয়েছি। তবে এভাবে যে মুক্তি মিলবে তা কল্পনা করতে পারেনি। এমনকি আমাদের খাবারও দেয়া হয়েছে। তিনি কারা কর্তৃপক্ষ ও ব্লাস্ট যশোরকে ধন্যবাদ জানান।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৭ বন্দির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে ১৭ জনের মুক্তির নির্দেশ আসে।

তিনি বলেন, মুক্তির পর বের হয়ে কিছু দিন চলার জন্য প্রত্যেককে খাদ্যদ্রব্যও হাতে তুলে দেয়া হয়। তাদের এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করে বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্ট যশোর।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :