‘শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের জন্য আশীর্বাদ’

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩৬ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২০, ০৯:৫৯

অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন

অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মাদ আমিন উদ্দিন। আইন-অঙ্গনে এ এম আমিন উদ্দিন নামেই বেশি পরিচিত। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি। চলতি মেয়াদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৯-২০ সেশনেও সভাপতি হয়েছিলেন। এর আগে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন প্রায় তিন দশক ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত এই আইনজীবী। পেশাগত জীবনের নানা দিকের পাশাপাশি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন আমিন উদ্দিন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার বোরহান উদ্দিন

ঢাকা টাইমস: আইনজীবী হওয়ার পেছনের গল্পটা জানতে চাই।

আমিন উদ্দিন: এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আমি ছাত্র ছিলাম। তখনকার সময় আইনজীবীদের যে ভূমিকা ছিল তা পত্রপত্রিকায় প্রতিনিয়ত আসত। ওইসময় কয়েকটি মামলা ছিল বেশ আলোচিত। এরমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহার বানু হত্যা মামলা, এছাড়া স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ইকবালের বিরুদ্ধে মামলা, এসব পত্র-পত্রিকায় আসত। ওই সময় আইনজীবীরা এসব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন, কাজ করছেন; তাদের দেখে অনেক বেশি উৎসাহিত হয়েছিলাম। অনার্স, মাস্টার্স পাস করে ১৯৮৫ সালে আইনে ভর্তি হই। ৮৬ সালে পাস করি। পরে বার কাউন্সিলে সনদের জন্য আবেদন করার পর ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বরে সনদ দেয়া হয়।

এরপর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হলাম। ১৯৮৯ সালে হাইকোর্টের সনদ নিলাম। পরের বছর হাইকোর্ট বারের সদস্য হলাম। এরপর থেকে চলছে।

ঢাকা টাইমস: আইনজীবীদের জন্য ব্যতিক্রমী কী উদ্যোগ নিয়েছেন যে কারণে আপনি বারবার নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন?

আমিন উদ্দিন: আসলে উদ্যোগের থেকেও বড় বিষয় আইনজীবীদের নেতৃত্ব যারা দেবেন তাদের সহকর্মীদের সমস্যা অনুধাবন করা। পেশাগত ও সামাজিক সমস্যা বুঝতে হবে এবং তা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। এখন তরুণ আইনজীবীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের অনেক সমস্যা। আমি এদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। সমস্যা থাকলে ব্যক্তিগতভাবে সমাধানের চেষ্টা করি। আমি যে সব পারি তা নয়, কিন্তু চেষ্টা করি। এজন্য হয়তো তারা আমাকে পছন্দ করেন।

ঢাকা টাইমস: আইনজীবীদের পেশাগত জীবনে আদালত অঙ্গনেও নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তাদের জন্য আপনারা কী করছেন?

আমিন উদ্দিন: আদালতের অ্যাফিডেভিট শাখায় সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা কিন্তু এ নিয়ে কাজ করছি। অনেককে আটক করা হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছি আইনজীবীরা যাতে করে কোনো ধরনের সমস্যা বা ঝামেলা ছাড়াই মামলা পরিচালনা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে। আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এজন্য আইনজীবী সমিতির পুরো কমিটি বৈঠক করেছি। বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী নিজে অভিযান চালিয়ে যারা অনিয়ম করে তাদের ধরেছেন। সতর্ক করে দিয়েছেন। অর্থাৎ আমরা যেসব সমস্যার কথা বলেছি আদালত তার সমাধানে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আইনজীবীরাও আমাদের যেসব সমস্যার কথা বলেন আমরা চেষ্টা করি সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধান করার। সমাধান করতে না পারলে দ্রুত কীভাবে সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করছি।

গত মেয়াদে নির্বাচনের আগে আমি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার প্রায় সবই এখন বাস্তবায়নের পথে। আমি সবসময় আইনজীবীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।

ঢাকা টাইমস: করোনাকালে আইনজীবীদের জন্য বিনাসুদে ঋণ দেয়া হয়েছে। সহকর্মীদের জন্য এমন আর কী চিন্তা আছে আইনজীবী সমিতির?

আমিন উদ্দিন: আমরা প্রত্যেককে বিনাসুদে আড়াই বছর মেয়াদে ঋণ দিয়েছি। এমন সিদ্ধান্ত এর আগে হয়েছে বলে জানা নেই। অসুস্থ আইনজীবীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু সবার জন্য এমনটা কখনো হয়নি। আমরা চিন্তা করেছি করোনার সময় আদালত বন্ধ ছিল,  পরবর্তী সময়ে ভার্চুয়াল কোর্ট শুরু হলেও অনেকে আসতে পারেননি, অনেকে গ্রামে ছিলেন, নেটওয়ার্কেরও ঝামেলা ছিল। ফলে অনেকের আয়-রোজগারও ছিল না। তাই আমরা চেষ্টা করেছি আইনজীবীদের পাশে থাকার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে টাকার অংক খুব বেশি মনে না হলেও তাদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারলাম। প্রায় ২৬ হাজার আইনজীবীকে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ঋণ দেয়া হয়েছে।

ঢাকা টাইমস: আদালতপাড়ায় ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বেশ সোচ্চার। এটা চলমান থাকবে তো?

আমিন উদ্দিন: আমরা অনিয়ম ও সমস্যার কথা বলার পর প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সবাই এটাকে সাদরে গ্রহণ করলেন। আমাদের বললেন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। অ্যাফিডেভিট শাখার সমস্যার কথা বলার পর তারা বললেন আমরা এখনই যাচ্ছি। পরে অভিযান চালানো হলো, অনেককে আটক করা হলো। আইনজীবীদের সহকারীদের সেখানে পেয়েছেন, কিন্তু তারা কেন গেছেন? কোনো না কোনো সমস্যার কারণে গেছেন। পরে কিন্তু ওখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলা হয়েছে এখানে কারো আসতে হবে না। নিয়মমত কাজ করে দিতে হবে। এতে হবে কী যখন নিয়মের মধ্যে কাজ হবে তখন কিন্তু অনিয়ম, দুর্নীতি হবে না। শাখায় না গেলেও যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে কেউ আর নিজের কাজ আগে করার জন্য ভিন্নপথে হাঁটবে না। ফলে অনিয়ম কমে আসবে । প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। আশা করি এটি ফলপ্রসূ হবে।

ঢাকা টাইমস: মামলার জট কমানোর উপায় কী?

আমিন উদ্দিন: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই যে ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে এটা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আমরা যদি পুরো মামলার একটি তথ্যভাণ্ডার করতে পারি তাহলে কিন্তু অনেক উপকারে আসবে মামলার জট কমানোর ক্ষেত্রে। জানতে পারবো কতগুলো মামলা আছে, কোন মামলা কোন পর্যায়ে আছে। অনেক মামলা আছে এগুলো অনেক আগের, আবার একই ক্যাটাগরির মামলা আছে। এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা যাবে। সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো আদালতের কাজকর্মও ডিজিটালাইজড করছে। এতে করে যেটা হবে মামলার জট কমবে, মানুষ উপকৃত হবে।

ঢাকা টাইমস: নতুন আইনজীবীদের নিয়ে বার কাউন্সিলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত। পরীক্ষার জটসহ নানা অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে।

আমিন উদ্দিন: আমাদের ভবনের জটিলতা আপাতত আর থাকছে না আশা করি। ভবনটা হয়ে গেলে অবশ্যই নতুন আইজীবীদের জন্য আগের মতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষা নিতে হবে। আইনে আছে বছরে দুইবার পরীক্ষা নিতে হবে, সেখানে একবারও তো হবে। পরীক্ষা আটকে রাখা যাবে না। প্রতিবছর পরীক্ষা হতে হবে তাহলে হাজার হাজার লোক অপেক্ষায় থাকবে না। নিয়মিত পরীক্ষা নিয়ে যারা যোগ্য তাদের তালিকাভুক্ত করতে হবে।

খাতা দেখাসহ নানা কারণে বিলম্ব হয় পরীক্ষা নিতে সেটা ঠিক। কিন্তু এটাকে একটা সিস্টেমে নিয়ে আসতে হবে। যেমন বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আউটসোর্সিং করে হলেও নিয়মিত পরীক্ষা নিতে হবে। যাতে আগ্রহীদের জীবন থেকে সময় নষ্ট না হয়, হয়রানির শিকার না হয়।

ঢাকা টাইমস: শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ভাতার জন্য দাবি করে আসছেন অনেকদিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?

আমিন উদ্দিন:  এটা অবশ্যই দেয়া উচিত। সরকারের উচিত সবাইকে যদি নাও পারে তাহলে যারা ভালো ফলাফল করছে তাদের মধ্যে ৫০০ জনকে একটা ভাতা দিতে পারে। সেটা কম হোক বেশি হোক। এটা হলে যারা নতুন আইনজীবী তাদের আর্থিক সহায়তা হয়। তারা স্বস্তিতে কাজ করতে পারবে। আর একজন ভালো আইনজীবী হলে সেখান থেকে তারা বিচারক হবে। সেটা তো দেশের জন্যও ভালো। এটা করা উচিত।

একটা বিষয় খেয়াল করবেন কোর্ট ফি যেটা আদায় হয় সেখানে কিন্তু আইনজীবীদের অনেক বড় ভূমিকা আছে। আইনজীবীরা নিজেরা অনেকে কোর্ট ফি নেন। দৈনন্দিন যে কোর্ট ফি তা তো আর মক্কেলের কাছ থেকে নেন না। যে কারণে এখান থেকে কিন্তু অনেক আয় হচ্ছে। তাই এ থেকে যদি কিছু অর্থ দেয়া হয় তাহলে ভালো হয়। যেহেতু এখানে ঘাটতি বাজেট নাই। প্রণোদনা কিন্তু অনেকেই পান। রাজউকের কর্মকর্তারা প্লট পান, রাজস্ব বিভাগের লোকজন কিন্তু পায়। শুধু আইনজীবীরা প্রণোদনা পান না।

ঢাকা টাইমস: অনেক মামলায় দেখা যায় আইনজীবীরা আসামির পক্ষে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটা কতটা যৌক্তিক?

আমিন উদ্দিন: সবার যেমন আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আছে তেমনি একজন আইনজীবীরও ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। ব্যক্তি হিসেবে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, তিনি মামলা পরিচালনা করবেন না। কারণ তার পরিবার আছে, ব্যক্তিজীবন আছে। এমন অনেক মামলা আছে যেগুলোর পক্ষে দাঁড়ালে হয়তো প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। কিন্তু আইনজীবী সমিতি এটা করতে পারে না।

ঢাকা টাইমস: জাতির পিতার হত্যাকারীদের বেশ কয়েকজন এখনো বিদেশে আছেন। তাদের ফেরাতে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন?

আমিন উদ্দিন: শোকের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সঙ্গে ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া পরিবারের সবার প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। এই ঘটনাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। পঁচাত্তরের পর থেকে ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত অনেকে ভাবতেই পারেননি এই বর্বরোচিত হত্যার বিচার হবে। ২১ বছর এটি বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। আমরাই একমাত্র জাতি যারা আইন করে বিচারের পথ বন্ধ করেছি। এর থেকে দুর্ভাগ্যের কী আছে জাতি হিসেবে? এরপর কলঙ্ক মোচন করার জন্য আবার নতুন করে আইন হলো, এরপর বিচার শুরু হয়। এখানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতা দেখিয়েছেন সেটা মানতেই হবে। কতবড় মনের মানুষ। তিনি কিন্তু বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করেননি। স্বাভাবিক বিচারের মতোই জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হলো। আসামিপক্ষ সবধরনের ডিফেন্স নেয়ার সুযোগ পেল। এটা আপিল বিভাগও শেষ হয়েছে, রিভিউ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। যারা ধরা পড়েছে এই মামলার তাদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে। তবে যারা এখনো পলাতক আমি মনে করি সরকার চেষ্টা করছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে, কিন্তু আরও শক্তভাবে দৃশ্যমান কাজ করতে হবে। কারণ অপরাধীদের যদি শাস্তি কার্যকর করেন তাহলে অন্যরা অপরাধ করতে ভয় পাবে। অপরাধ করার আগে তিনবার ভেবে কাজ করবে। শাস্তি কার্যকরের এটা কিন্তু অন্যতম একটি কারণ। অবশ্যই এদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে হবে।

ঢাকা টাইমস: আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়েছে। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত রায় হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?

আমিন উদ্দিন: এটি আরও নির্মম ঘটনা। ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত ঘটনা তো রাতের আঁধারে ঘটেছিল। কিন্তু এটা তো দিনের বেলায়, তখন দেশের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রী পদমর্যাদার ছিলেন। তাকে এভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যাচেষ্টার ঘটনা মানব ইতিহাসে আর নেই। পরে তারা জজ মিয়াকে হাজির করলো, কতটা হাস্যকর। পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে যখন আসামিদের ধরলো, তারা পরে স্বীকারোক্তি দিল। তখন ধীরে ধীরে সব স্পষ্ট হলো। মানুষের ধারণা প্রমাণিত হলো। তৎকালীন বিএনপি সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তার ভাই বাসায় বসে পরিকল্পনা করলেন। আরেকজন প্রতিমন্ত্রী এবং দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার অফিসে বসে এই হামলার সিদ্ধান্ত নিলেন। সবকিছু প্রমাণের পর রায় হয়েছে। এটি এখন আপিলে আছে। আমি মনে আপিল শেষে দ্রুত এটি কার্যকর করা উচিত। বিচার শেষ করে যদি এই রায় কার্যকর করা হয় তাহলে মানুষ অন্যায় করতে ভয় পাবে।

ঢাকা টাইমস: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার সার্বিক মূল্যায়ন কীভাবে করবেন?

আমিন উদ্দিন: দেখুন আমরা যে কারোনার প্রকোপের মধ্যে ভার্চুয়াল আদালতে কাজ করলাম এটার সুযোগ হয়েছে ডিজিটালাইজেশনের কারণে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। দেশের জিডিপি বাড়ছে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষের দিকে। অথচ স্বপ্নেও অনেকে ভাবেনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন হয়ে গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন হচ্ছে, এমন অনেক স্থাপনা হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে এই সরকারের সময়। এসব তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।

দুর্নীতিতে এক সময় আমরা চ্যাম্পিয়ান ছিলাম। কিন্তু এখন কিন্তু সূচকে অনেক নিচের দিকে বাংলাদেশ। এখানে দুর্নীতির বিচার হচ্ছে। এগুলো বুক ফুলিয়ে বলতে পারছি। আর সুশাসনের কথা যদি বলেন তাহলে দেখবেন করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতে যার বিরুদ্ধে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কে কোন দলের তা দেখা হচ্ছে না। তাই আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন, দেশের নেতৃত্বে থাকবেন ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে, আরও সুখী-সমৃদ্ধশালী হবে। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

ঢাকা টাইমস: সবশেষ জানতে চাই আইনজীবী হিসেবে নিজের তৃপ্তি কোথায় খুঁজে পান?

আমিন উদ্দিন: যখন দেখি একজন বিপদগ্রস্ত, অন্যায়ের শিকার হওয়া মানুষের পক্ষে কাজ করার পর তিনি পক্ষে রায় পান, তখন তার মুখে যে হাসি দেখতে পাই সেটা অনেক বড় একটি পাওনা। অনেক মানুষ এসে কেঁদে ফেলে । খুব মায়া হয়। চেষ্টা করি সর্বাত্মকভাবে। কারণ তাদের মুখে হাসি দেখি তখন নিজেকে সার্থক মনে করি। এই তৃপ্তিটা টাকা-পয়সা দিয়ে পাওয়া যায় না। এটাই একজন আইনজীবীর বড় পাওনা।

ঢাকা টাইমস: সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

আমিন উদ্দিন: ঢাকা টাইমসকেও ধন্যবাদ

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/জেবি)