৩৪৬৮ কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২০, ১৬:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তিন হাজার ৪৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সাত প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, আজকের একনেক সভায় গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ আহরণে ৬১ কোটি ছয় লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

একনেক সভায় বিশ্বব্যাংকের ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।  জানা গেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫৯৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে চার কোটি ২০ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের অনুদান থেকে ৫৯৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

৮৪৮ কোটি টাকার ‘বারৈয়ারহাট-হোঁয়াকো রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। অনুমোদিত কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৩১ কোটি টাকা। ৭১২ কোটি টাকার ‘তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে পটুয়াখালীর বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক সভায়। দাউদকান্দি-গোয়ালমারী মহাসড়কের মান উন্নয়ন প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৩০ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। করোনার মধ্যে এমন প্রবৃদ্ধি ‘অবাস্তব’ উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন একটি রাজনৈতিক সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। বিবিএস পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়ায় এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘উনারা গবেষক মানুষ, গবেষণা করেন। আমি তাদের সঙ্গে বাহাসে যাব না, তর্কের বিষয় নয়। বিবিএস আমাদের নির্ভরযোগ্য সংস্থা। তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। আমাদের আস্থা তাদের কাজের ওপর আছে। তারা যে তথ্য দিয়েছে, সেটার ওপর আমরা সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমরা মনে করি, এটাই যথাযথ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা যেহেতু সাময়িক বলা আছে, পরবর্তী স্টাডি (গবেষণা) করে এর চেয়ে বেটারও (ভালো) হতে পারে। আমরা সংস্থাগুলোকে সম্মান করি। তারা আরও গবেষণা করুক। আমরা পড়বো, দেখবো। তবে আমরা জেনেশুনে আমাদের কাজ করছি।’

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/জেআর/জেবি)