সবাই টেলিভিশন ভুলে যাচ্ছে: মিলন

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২০, ০৮:৫২ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০, ০৯:০০

বিনোদন প্রতিবেদক

নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। গেল ঈদুল আযহায় বেশ কিছু নাটকে তিনি অভিনয় করেন। পাশাপাশি তিনটি নাটক পরিচালনাও করেন। বর্তমানে অভিনেতা কাজ করছেন শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মাফিয়া’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে। সেখানে মিলনের বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌ খান। ওই ওয়েব সিরিজটি এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গে মিলনের কথা হয় ঢাকা টাইমসের সঙ্গে। আলাপচারিতায় ছিলেন লিটন মাহমুদ।

ওয়েব সিরিজে আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাই

৩১ পর্ব মিলে একটা সিজন। এর মধ্যে প্রথম পর্বটি হচ্ছে ‘মাফিয়া’। বাংলাদেশের বিভিন্ন খুনিদের প্রতিচ্ছবি এই ‘মাফিয়া’। এটি কাল্পনিক গল্পে নির্মিত হচ্ছে। সেখানে আমি সুকান্ত নামে একজন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডনের চরিত্রে অভিনয় করছি।

সিরিজটির কাহিনি সম্পর্কে একটু বলা যাবে?

এই ওয়েব সিরিজে সুকান্ত একজন ঠান্ডা মাথার খুনি। সে বড় ভাই জাহিদ হাসানের কথায় চলে। জাহিদ ভাইও আমার কাজ করে দেন। তবে একটা সময়ে রুপ পরিবর্তন হয়। একপর্যায়ে আমি সিনেমার এক নায়িকার প্রেমে পড়ি। আমার পাওয়ারে নায়িকাও চলে। একদিন বদমেজাজী স্বভাবের শ্যামল মওলার সঙ্গে পরিচয় হয়। তার চরিত্রটি একজন ক্রিকেটারের। শ্যামল বড় ভাই জাহিদ হাসানের হাতছানিতে আমার পজিশন নেয়ার ষড়যন্ত্র করে। ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যাবে।

ওয়েব সিরিজ নিয়ে তুমুল বির্তক রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কী এবং কাজের ধরণটি কেমন?

পুরোটাই আলাদা। যতটুকু দেখার পরিবেশ তৈরি হয়েছে ততটুকুই দেখানো উচিত। পুরোটাই দৃষ্টি ভঙ্গি। আসলে বাংলাদেশ ওয়েব সিরিজে অভ্যস্ত নয়। যখন পরিবেশ তৈরি হবে, তখন এ ধরনের ওয়েব সিরিজ নিয়ে কাজ করা যাবে। যারা ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা বলেছে সবাই কিন্তু দেখেছে। আগে ওয়েব সিরিজের দর্শক তৈরি করতে হবে। মানুষকে আঘাত করা যাবে না। তবে আমার ওয়েব সিরিজটির গল্পে দর্শকের ধাক্কা খাওয়ার সুযোগ নেই। গল্পের প্রয়োজনে এখানে গান রয়েছে। শালীনতা বজায় রেখে কাজ হচ্ছে।

একাধারে মঞ্চ, বড় পর্দা, ছোট পর্দা ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। কোনটি ভবিষ্যতের পথ দেখাবে?

টেলিভিশন সার্বজনীন। এর প্রযোজনা কখনো শেষ হবে না। কিন্তু  বর্তমানে দর্শক অনলাইনে বেশি নজর দিচ্ছে। এদেশে এখনো অনলাইন পোর্টালের জায়গা তৈরি হয়নি। তাই টেলিভিশনকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভালো কাজগুলো টিভিতে আনতে হবে, তাহলে দর্শক দেখবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, টিভির জন্য বাজেট দেয়া হচ্ছে না অথচ অনলাইনগুলো ঠিকই বাজেট পাচ্ছে। সবাই টেলিভিশন ভুলে যাচ্ছে। কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যমের দিকে সবাই ঝুঁকছে, সেখানেও কোনো আলো দেখছি না। কাজেই, ব্যক্তিগতভাবে আমার স্বাচ্ছন্দ্যর জায়গা টেলিভিশন।

বাংলা শোবিজে নাকি এখন শিল্পী সংকট। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

হ্যাঁ, পুরোপুরি শিল্পী সংকট রয়েছে। তবে আস্তে আস্তে এই সংকট কমে যাবে। সমস্যা হলো, বর্তমানে ক্যারেকটার শিল্পী নেই। তাই চরিত্রনির্ভর শিল্পী তৈরি করতে হবে। ছোট ও বড় পর্দা যখন এক হয়ে যাবে, তখন নাটকের অনেক শিল্পীই চলচ্চিত্রে কাজ করবে। আমি আশাবাদী, অচিরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এসকেএস/এএইচ