বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, হত্যা ও কিছু কথা

এ কে এম শহীদুল হক
| আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২০, ১৬:০৩ | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২০, ১৬:০০

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙ্গালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয় ছিল বিশাল ও সমুদ্রের ন্যায় সীমাহীন বিস্তৃত। বঙ্গবন্ধুর সেই হৃদয়ে ছিল অফুরন্ত ভালোবাসা ও মমতা। মানুষের জন্য ভালোবাসা। তিনি তাঁর হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে তাঁর সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে ভালোবেসেছিলেন বাংলাদেশের জনগণকে। বাংলার দরিদ্র, শোষিত, অধিকার বঞ্চিত অসহায় মানুষের করুণ অবস্থা দেখে তিনি ব্যথিত হয়েছিলেন, আবেগ প্রবণ হয়েছিলেন, তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এ মানুষগুলোকে শোষণ, শাসন থেকে মুক্ত করতে হলে তাদেরকে পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত করতে হবে। স্বাধীন করতে হবে। নইলে তাদের মুক্তি হবে না। পরাধীন জাতি কখনও স্বাধিকার ও স্বাধীনতার স্বাদ পায় না। এ সত্যকে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি সেই লক্ষ্য অর্জনকে সামনে রেখেই রাজনীতি করেছেন।

কোন আর্থিক লোভ, ক্ষমতার লোভ কিংবা জেল-জুলম বা প্রাণনাশের হুমকিতে তিনি দমে যাননি। তিনি জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল বালাদেশের দুঃখী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতা দূর করে তাদের মুখে হাসি ফোটানো ও সোনার বাংলা তৈরি করা।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের পর বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পরের দিন থেকেই রাষ্ট্রীয় কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছুই ছিল না। রাস্তা, সড়ক, কালভার্ট, সেতু, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছিল। ব্যাংকে কোন টাকা ছিল না। রিজার্ভে স্বর্ণ নেই। পুলিশ ও সেনাবাহিনী সংগঠিত হয়নি। প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠে নাই। বঙ্গবন্ধু সরকারকে দেশের পুনঃগঠন কাজে হাত দিতে হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে হয়েছে। ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে তা চালু করতে হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনিক কাঠামোকে দাঁড় করাতে হয়েছে। ভারত থেকে এক কোটি শরণার্থী প্রত্যাগমন করলে তাদের বাসস্থান ও খাবার সরবরাহ করতে হয়েছে। পঙ্গু ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন করতে হয়েছে। বিদেশ থেকে ঋণ, সাহায্য ও খাদ্য এনে মানুষকে খাওয়ায়ে বাঁচায়ে রাখতে হয়েছে। তিনি নয় মাসের মধ্যে বিশ্বের একটি সেরা সংবিধান উপহার দেন। শিক্ষানীতি তৈরি করেন।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে চীন, সৌদি আরব, সুদান, ওমান ও ব্রুনাই ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। চীনের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে। ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেন। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যও হয়েছিল বাংলাদেশ। এটা সম্ভব হয়েছিল বিশ্ব অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর পরিচিতি, তাঁর সুনাম ও ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক থাকার কারণে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর সময় প্রায় শতাধিক বিদেশি ভিআইপি ও ভিভিআইপি বাংলাদেশে আসেন।

বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মত প্রকাশের অধিকার এবং প্রেস তথা মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর শাসনামলে সকলেই স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল। এ সুযোগ ব্যবহার করে স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বার্থান্বেষী মহল বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, অতিরঞ্জিত, পরিকল্পিত গুজব ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাসের সক্রিয় প্রচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাঁরা সফলও হয়েছিল। দুঃখের বিষয় স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন ও বঙ্গবন্ধুর সাহচার্যে এসে নেতা হয়েছিলেন এমন কিছু তরুণ রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা বিরোধী বিদেশি শক্তির মদদে এবং তাদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ভুল পথে চলে গিয়েছিলেন। তাঁরাও বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

তাঁদের মধ্যে ছিল সিরাজুল আলম খান, আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, মেজর জলিল প্রমুখ। তাঁরা সিরাজুল আলম খানের উপদেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রতিষ্ঠা করেন। মেজর জলিল পার্টির প্রধান হন। দলের একটি সশস্ত্র উয়িং ’গণবাহিনী’ তৈরি করেন। গণবাহিনী গোটা দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে একটা ভীতিকর ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। জাসদের গণবাহিনী ও সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টির অস্ত্রধারীরা আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতকর্মী ও পাঁচজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করেছিল। থানা, ফাঁড়ি আক্রমণ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছিল। পুলিশ হত্যা করেছিল। চীন ও আমেরিকা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয় নাই বরং বিরোধীতা করেছিল। অথচ চীনের মদদে সর্বহারা পার্টি কমিউনিজম এবং জাসদ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মত একটা কাল্পনিক মতবাদের আফিম খাওয়ায়ে শত শত যুবকদের সর্বহারা পার্টি ও গণবাহিনীতে এনে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিয়োজিত করেছিল। অনেক যুবক নিহতও হয়েছিল।

এদিকে জনস্বার্থবিরোধী, মুনাফা লিপ্সু ব্যক্তি ও অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজ দেশের পাট, খাদ্যশস্য ও অন্যান্য সামগ্রী ভারতে পাচার ও অবৈধভাবে মজুদ করে দেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টি ও মূল্যবৃদ্ধি করেছিল। পুলিশ সর্বহারা পার্টি, গণবাহিনী ও দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখলেও পুলিশের স্বল্পতা এবং সক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা থাকায় অবৈধ অস্ত্রধারীদের মোকাবেলা করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা পুলিশের পক্ষে কঠিন ছিল। এমতাবস্থায় রক্ষীবাহিনীকে সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে সহায়তা করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। রক্ষীবাহিনী অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চোরাচালানি ও মজুতদারিদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করেছিল। চোরাচালানি ও মজুতদারি কমেছিল। জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পেতে শুরু করেছিল। প্রথম দিকে রক্ষীবাহিনী বাড়াবাড়ি করলেও পরবর্তীতে রক্ষীবাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কঠোর বিধিও প্রণীত হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু দেখলেন উদার গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রি মহল এবং বিদেশি প্রভুদের ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে তাদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু বিপদগামী নেতা দেশের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তিনি ভাবলেন এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তাঁকে কঠোর হতে হবে। তিনি রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারে ফিরে গেলেন এবং বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করলেন। মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনলেন। বাকশাল ছিল একটি জাতীয় রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। বঙ্গবন্ধু সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিবর্গকে এই প্লাটফর্মে আসার আহ্বান করলেন। ন্যাপ (মোজাফ্ফর) ও সিপিবি বাকশালে এসেছিল। ন্যাপ (ভাষানী) ও জাসদ বাকশালে আসেনি। বঙ্গবন্ধু একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন গোটা জাতি একত্রিত হয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন করে দারিদ্রতাকে দূর করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই এই পরিবর্তনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এ ব্যবস্থা সাময়িক কালের জন্য।

বাকশালের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের প্রধান লক্ষ্য ছিল ক্ষেত-খামার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা এবং প্রশাসন ও বিচার বিভাগে সংস্কার আনা। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার। গ্রাম পরিষদ, থানা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও জাতীয় পরিষদ অর্থাৎ পার্লামেন্ট থাকবে। থানা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং পার্লামেন্ট জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে। প্রত্যেক জেলায় একজন গভর্নর থাকবে। জেলার সার্বিক উন্নয়ন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা তার তত্বাবধানে থাকবে। আধুনিক কৃষি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ করে উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। জনবান্ধব ও গণমুখী পুলিশিং ব্যবস্থা চালুর জন্য তিনি পুলিশ সংস্কারের কাজও হাতে নিয়েছিলেন। বিচার বিভাগের সংস্কার করে বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে চেয়েছিলেন। বিভাগীয় সদরে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল।

জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর দিত্বীয় বিপ্লব বাস্তবায়নের জন্য কাজ করলে আমার বিশ্বাস দশ থেকে পনের বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে চলে যেত। দলমত নির্বিশেষে সকলের উচিত ছিল দেশের স্বার্থে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি নবীন দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকা। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করা করে তাঁকে শান্তিতে কাজ করতে দেয়া, তাঁকে সময় দেয়া। যদি জাসদ ও সর্বহারা পার্টি সৃষ্টি করে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি না করা হত এবং ওই সকল নেতারা বঙ্গবন্ধুর সাথে একসাথে কাজ করতেন তা হলে দেশের চেহারাই ফিরে যেত। কিন্তু দেশি-বিদেশি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে পড়ে ওই সকল নেতারা ভুল পথে চলেছিলেন।

জাসদের রাজনীতি যে ভুল ছিল তা জাসদের প্রধান মেজর (অবঃ) জলিল নিজেই জনগণের কাছে স্বীকার করেছিলেন এবং ঘোষণা দিয়ে জাসদ থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে নতুন দল প্রতিষ্ঠা করে হাফেজী হুজুরের নেতৃত্বে সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের জম্ম দেন। জাসদ ও সর্বহারা পার্টির ভুলের জন্য এত লোক মারা গেল, দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলো, দেশের ক্ষতি হলো- তার দায় দায়িত্ব কি ওই দলের নেতৃবৃন্দ নিবে না? অবশ্যই তাদের দায় আছে। তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত ছিল।

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি মহলের মদদে বেঈমান মুস্তাক নেপথ্যে জিয়ার সমর্থন নিয়ে বিপদগামী কতিপয় সেনা অফিসার দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলার ইতিহাসে যে কলঙ্কময় অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল তার দায় থেকেও কি জাসদ ও সর্বহারা পাটির নেতারা অব্যাহতি পেতে পারেন? বিশিষ্টজন অনেকেই মনে করেন তাঁরা এ দায় এড়াতে পারেন না। কারণ দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। যে চীন আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের প্রক্রিয়ায় বারবার বাধা দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নাই, সেই বিদেশি প্রভুদের প্ররোচণায় পড়ে জাসদ বাংলাদেশে তথাকথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। আ স ম আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজের মতো নেতারা লোভে পথভ্রষ্ট হয়ে কি পেয়েছেন? জনগণ তাদেরকে এখন কিভাবে মূল্যায়ন করে? সাধারণ জনগণের মূল্যায়নে তাঁরা নীতিভ্রষ্ট ও সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ। জাসদের টিকেটে নিজ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন করে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কি তাদের আছে?

ইতিহাস তাঁদেরকে কোথায় স্থান দিবে? দেশের ক্ষতি করে তাঁরা এখন কোথায় আছেন? আমার বিশ্বাস তাঁরা যতই গলাবাজি করুন ভেতরে ভেতরে বিবেকের দংশনে ভুগছেন। ভুলের প্রায়শ্চিত্য দিচ্ছেন। কারণ মানুষ হিসেবে তাঁদের মধ্যে উপলব্ধি আসাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁরা দেশের যে ক্ষতি করেছেন তার কোনো ক্ষতিপূরণ কি আছে?

লেখক: সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :