মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২০, ২০:০৩ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০, ২০:৪৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ  ছাত্রীর মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় আশুগঞ্জের তারুয়া জামিয়া ছোবহানীয়া মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অলিউল্লা ছোবহানী এবং তার পিতাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অলিউল্লা ছোবহানী দুই মাস আগে তারুয়া গ্রামে জামিয়া ছোবহানীয়া মহিলা মাদ্রাসাটি চালু করেন। মহিলা মাদ্রাসা হওয়া সত্ত্বেও এর সঙ্গে নিজে থাকার জন্যে একটি ঘর নির্মাণ করেন। নাছিমার  পাঁচ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ট কন্যাকে (১৬) মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পরই ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। এর কয়েক দিন পরই ওই ছাত্রীর ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে অলিউল্লাহ ছোবহানীর। নানা প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে সে ছাত্রীকে। ভুল বুঝিয়ে মাদ্রাসা লাগোয়া থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-পা টিপানো এবং শরীর ম্যাসেজ করতে বাধ্য করে ছাত্রীটিকে। তাকে এ ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়ভীতি দেখায়। গত ৯ আগস্ট  অধ্যক্ষ মাদ্রাসা লাগোয়া থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ছাত্রীটিকে। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করবে বলে জানালে অলিউল্লা ছোবহানী তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। কয়েকটি ডায়েরির পাতায় বিয়ের কথাবার্তা লিখে তাতে ছাত্রীর স্বাক্ষর নেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার আশরাফুর রহমান, সদর উপজেলার হাবলাউচ্চ গ্রামের কেফায়েত উল্লাহ ও আশুগঞ্জ যাত্রাপুর গ্রামের আবুল বাশার আইয়ুবীকে ওই বিয়ের উকিল ও সাক্ষী  বানিয়ে ডায়েরির পাতায় তাদের স্বাক্ষর নিয়ে ছাত্রীকে বিয়ে হয়েছে বলে আশ্বস্ত করা হয়। মামলায় এই তিন উকিল-সাক্ষী  এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর অলিউল্লা ছোবহানীর পিতা আব্দুল ছোবহানকে আসামি করা হয়। অলিউল্লা ছোবহানীর বিরুদ্ধে বলাৎকারেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় তার কাছ থেকে সালিশ করে জরিমানাও আদায় করা হয়। মাদ্রাসার নামে টাকা উত্তোলন করে নিজের সহায়-সম্পদ গড়ার কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও নানা অপকর্ম করে বেড়ানোর অভিযোগ করেন এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এলএ)