রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত তাড়াশের কৃষক

শায়লা পারভীন,তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০২০, ১৪:১৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষকেরা রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর বন্যায় উপজেলার রোপা আমন, সবজিসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকেরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমন ধান রোপণে।

এবারের বন্যায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বারুহাস, তালম,দেশীগ্রাম, মাধাইনগর ও তাড়াশ সদর ইউনিয়নের পুর্বাঞ্চল। তাড়াশ উপজেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। তবুও থেমে নেই ওই এলাকার কৃষকরা। ইতোমধ্যেই কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন রোপা আমন ধান রোপণের কাজে। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় নতুন করে বীজতলা তৈরিসহ ধোর রোপণের কাজে ব্যস্ত তারা।

দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আড়ংগাইল গ্রামের কৃষক কুদ্দুস বলেন, ‘এ বছরের বন্যায় আমার রোপন করা রোপা আমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বিভিন্ন এলাকা ও হাট-বাজার থেকে অধিক মূল্যে রোপা আমন ধানের চারা কিনে জমিতে রোপণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তার মতো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আরও অনেক কৃষক বর্তমানে রোপা আমন ধান রোপণ করতে বেশ কষ্ট করছেন। অনেক কৃষক সার, বীজ, কীটনাশক ক্রয় করতে দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুনাহার লুনা জানান, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা যেন ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে সেজন্য সাত হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়া একটি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে এবং ৪০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাড়াশে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনরায় বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :